সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় অহরহ চলছে জমজমাট কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য। কোথাও কোথাও সাইনবোর্ড সরিয়ে, আবার কেউ কেউ পুরানো কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষকরা এই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সরকারি স্কুল, কলেজ ও এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাসা ভাড়া নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য।
প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান না থাকায় এইসব কোচিংগুলো কেবল বেপরোয়া হয়ে গেছে। একের পর এক কোচিং সেন্টারের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
গত বৃহস্প্রতিবার সকালে উপজেলার কৈল্যান্দি বাজারে পাশে মনির ডাক্তারের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায় একাধিক কোচিং সেন্টার। এর পাশেই রয়েছে একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে কোন কোন শিক্ষক ২০-৩০ জন করে একাধিক ব্যাচ তৈরি করে শিক্ষার্থী নিয়ে চালাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য।
আবার একদিন পর পর এক এক ব্যাচকে পড়ানো হয়। প্রতিদিন গড়ে ৭/৮টি ব্যাচকে পড়ানো হচ্ছে। আর তাতেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনুপস্থিত থেকে কোচিং বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে।
উপজেলা প্রশাসনের নিকট কোচিং-প্রাইভেট বাণিজ্যের বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হলেও প্রশাসনের নাকের ঢগায় এসব অবৈধ কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র শিক্ষার্থী, অভিাবক, সচেতন মহল হতাশ। আর এসব কোচিং সেন্টারে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ও বিকালে এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে শিক্ষকদের প্রাইভেট পাঠদান।
তারেক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোচিং না করলে আমরা শিখবো কিভাবে। ক্লাসে তো শিক্ষকরা আমাদের ঠিকমত বোঝাতে চায় না। তাই আমরা কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছি।
রাসেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, মাসে ১২ দিন কোচিং করে শিক্ষকদেরকে ১ বিষয়ের বাবদ ১ হাজার টাকা প্রদান করে থাকি। আর বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকদের কাছে কোচিং করলে আমাদের সুবিধা হয়। আমরা পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করেন যেন দ্রুত এইসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে বাকিরা এইসব থেকে বিরত থাকবে। তাই ভুক্তভোগী অভিভাবক, শিক্ষার্থী সচেতন মহল সেনবাগে অবৈধ কোচিং, প্রাইভেট বাণিজ্য বন্ধের জন্য সরকারের উধ্বর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।