পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম দুই মায়ের ডিম্বাণু নিয়ে এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুই নারীর ডিম্বাণুর সঙ্গে এক পুরুষের শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে এ সফলতা পেয়েছে গ্রিস ও স্পেনের চিকিৎসকদের একটি দল।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি খবরে প্রকাশ করেছে, গত ৯ এপ্রিল ওই শিশুর জন্ম হয়েছে। জন্ম নেওয়া শিশুটির ওজন দুই দশমিক ৯ কেজি। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, শিশু ও তার জন্মদাত্রী মা দুজনেই সুস্থ আছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, গ্রিসের ৩২ বছর বয়সী এক নারী কোনোভাবেই মা হতে পারছিলেন না। টেস্টটিউব পদ্ধতিতেও তিনি চার দফায় চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। মা হতে তাকে সহযোগিতা করার জন্য গবেষকেরা নতুন কৌশল অবলম্বন করেন। ওই নারীর সমস্যা ছিল কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায়।
এ ধরনের সমস্যায় মায়ের গর্ভেই সন্তান প্রাণঘাতী ওই মাইটোকন্ড্রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এ বাধা এড়ানোর জন্য গবেষকেরা প্রথমে মায়ের ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসদাতা নারীর ডিম্বাণুতে স্থাপন করেন। পরে তা বাবার শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করা হয়। এরপর নিষিক্ত ভ্রূণটি মায়ের গর্ভে স্থাপন করেন।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা নুনো কস্টা-বোরহেস বলেন, তাদের কৌশলে জন্ম নেওয়া শিশুর জিনের ৯৯ শতাংশই এসেছে তার মা-বাবা থেকে। ১ শতাংশ জিন এসেছে দাতা নারীর দেহ থেকে।
তবে গবেষকদের এই কৌশল নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্যের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তো এ গবেষণা নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্নও তুলেছেন। তাদের মতে, এ নিয়ে গবেষণা হওয়াই উচিত নয়।