Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:২৫ PM
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:২৫ PM

bdmorning Image Preview


লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে লুৎফর রহমান (৫০) নামে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকালে উপজেলা সদরের বুড়িরবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার লুৎফর রহমান উপজেলার বড়াবাড়ি এমএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বাড়িও বিদ্যালয়ের পাশেই।

শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়াবাড়ি এমএইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন ছলনায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করতেন।

গত সপ্তাহে ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পকেটে টাকা আছে কিনা দেখার অজুহাতে তার বক্ষদেশে হাত দিয়ে বাথরুমে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান। বাথরুম গেলে তাকে বিশ টাকা দেয়ার প্রস্তাবও দেন তিনি। পরে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি পরিবারকে অবগত করলে তারা ওই ছাত্রীর সাময়িক ভাবে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হন।

এ দিকে আজ সোমবার দুপুরে পরিবারের লোককজন বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

একইভাবে আদিতমারী থানাও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রীর মা। আদিতমারী থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে উপজেলা সদরের বুড়িরবাজার থেকে গ্রেফতার করে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের জমির নিয়ে ওই ছাত্রীর এক আত্নীয় অভিযোগ করেছিলেন। সে অভিযোগে বিদ্যালয়ের কোন ক্ষতি করতে না পেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাকে নাজেহাল করতে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি উচ্চতর তদন্ত দাবি করেন।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীসহ তার অভিভাবকদের বক্তব্য শুনে আইনের আশ্রয় নিতে এবং থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সাথে ঘটনাটি তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview