ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরিনো অভিযোগ করেছেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসকে গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র বানানোর চেষ্টা করেছিলেন।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ অভিযোগ করেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট বলেন, অ্যাসাঞ্জকে দেয়া আশ্রয় প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত অন্য কোনো দেশের প্রভাবে নয়। তিনি আশ্রয়ের শর্ত ভঙ্গ করায় এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া তার নথিপত্রেও ত্রুটি ছিল। আর এসব কারণেই গত বুধবার অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় (অ্যাসাইলামা) প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।এরপর দিন বৃহস্পতিবার লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসের মধ্যে ঢুকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে যুক্তরাজ্য পুলিশ।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ইকুয়েডর সরকার যেসব অভিযোগ তুলেছে, তা আগেই নাকচ করে দিয়েছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী। তিনি এসব অভিযোগকে ‘জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সাত বছর ধরে তিনি এ দূতাবাসে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাসাঞ্জ ২০১০ সালে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক এবং কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন।
গ্রেফতার এড়াতে ২০১২ সালে তিনি লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন।