লালমনিরহাটের পাটগ্রামে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হওয়ার ৬ দিন পর গৃহবধূ রোজিনা বেগমের (২০) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে রোজিনা তার স্বামীকে জানায় যে তার বাড়িতে বেশ কিছু নিকটতম আত্মীয় আসবে। এ কথা শুনে মোবাইলে রোজিনাকে গালাগালি করে তার স্বামী। ঘণ্টাখানেক পর বাড়িতে এসেই রোজিনার চুলের মুঠি ধরে মারধর শুরু করে স্বামী আবদুল্লা। পরে ঘরের ভেতর থেকে কেরোসিনের বোতল এনে ঢেলে দেয় রোজিনার শরীরে। আগুন ধরিয়ে দিলে রোজিনার গলাসহ তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে যায়। রোজিনার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে স্বামী আব্দুল্লাহ পালাতে চেষ্টা করে।
এ সময় স্থানীরা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে রোজিনাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে রোজিনা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ওসি মনসুর আলী বলেন, ‘ওই গৃহবধূর স্বামী আব্দুল্লাহকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।ওসি আরো জানান, গৃহবধূর মরদেহ রাতে গ্রামের বাড়ি পাটগ্রামে নিয়ে আসবেন বলে পরিবার জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে সারাদেশ যখন উত্তাল, তখনই পাটগ্রামের এ ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল নুসরাত পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গায়ে আগুন দেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওইদিন রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।