Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নান্দাইলে বৈশাখী জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত তাঁত শ্রমিকরা

রমজান আলী, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০০ PM
আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০০ PM

bdmorning Image Preview


বৈশাখী উৎসব উপলক্ষ্যে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে নান্দাইলের ৩ তাঁত শ্রমিক। দিনরাত শ্রম দিয়ে তৈরি হচ্ছে সাদা-সবুজ, হলুদ-সাদা ও লাল-সবুজে সাদা রং মিশ্রিত বিভিন্ন বাহারী ডিজাইনের বৈশাখী জামদানি শাড়ি।

একটি উন্নতমানের শাড়ি তৈরিতে প্রায় ১৫ দিনের সময় লেগে যায়। রেশমী সুতা, জরি ও আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি শাড়ির ভালো মান ও চাহিদা রয়েছে বাজারে। সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের শাড়ি তৈরি করা হয়।

জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বাশঁহাটি বাজার থেকে অর্ধ কি.মি. দূরে বাশঁহাটি গ্রামে ২০০৯ সালে গড়ে উঠেছে নান্দনিক তাঁতশিল্প। উক্ত গ্রামের কামাল, শাহীন ও জুয়েল মিয়া নামে আপন তিন ভাই এই তাঁতের শিল্পের কাজ শুরু করেন।

নারায়ণগঞ্জ রূপসী এলাকায় জামদানি শাড়ির কাজ শিখেছেন কামাল। সেখান থেকেই তার ভাবনা যে এই তাঁতশিল্পের কাজ নিজ এলাকায় থেকেও করা যেতে পারে। তাই তার দুই ভাইসহ একটি টিনের চৌচালা ঘরে শুরু করে শাড়ি তৈরির কাজ। বর্তমানে তার ৪জন কারিগর ও ২ জন সহকারী রয়েছে। প্রথমে এর চাহিদা কম থাকলেও এখন দূর-দূরান্ত থেকে অগ্রীম অর্ডার পায় তারা।

কারিগর জুয়েল মিয়া বলেন, উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের সৌখিন লোকজন জামদানি শাড়ির নিতে অগ্রীম অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ঢাকা শহরের বিভিন্ন দোকানপাট থেকেও অর্ডার আসে তাদের কাছে।

সহকারী সোহেল জানান, রেশমী সুতায় এনালগ পদ্বতিতে কোন মেশিন ছাড়াই এই শাড়ি বুনা হয়। শাড়ির মান বজায় রাখতে সময় বেশি লাগান তারা। যার ফলে তাদের এখানে শাড়ির তৈরির চাহিদা বেড়ে গেছে।

কারিগর শাহীন জানান, অর্থ যোগানের অভাবে এই শিল্প কাজটি বাড়াতে পারছেন না। সরকারি সহযোগীতা পেলে এই শিল্পটি নান্দাইলে আরও বেগমান হবে।
 

Bootstrap Image Preview