তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে কারো হস্তক্ষেপ আমরা সহ্য করব না। রাশিয়া থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে পৃথিবীর কোনো শক্তি তুরস্ককে থামাতে পারবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হস্তান্তর নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তুরস্কের উচ্চতর প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠক শেষে ভ্লাদিমির পুতিন ও এরদোগান যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় এরদোগান বলেন, উত্তর সিরিয়ায় তুর্কি সীমানা এবং সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এমন কোনো বিষয় মেনে নেয়া হবে না। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সন্ত্রাসীদের দমনে রাশিয়ার সহযোগিতা নেওয়া হবেও বলে জানান এরদোগান।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় অনুষ্ঠিত এ শীর্ষ বৈঠকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিষয় ছাড়াও সিরিয়া বিষয়ে পর্যালোচনা করেন পুতিন ও এরদোগান।
প্রসঙ্গত, তুরস্ক এস-৪০০ সিস্টেমটি গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেটি বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। এ ছাড়া এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও একটি চুক্তি রয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এস-৪০০ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো তাদের এফ-৩৫ যোদ্ধা জেটগুলোর জন্য হুমকি সৃষ্টি করবে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এস-৪০০ পাওয়ার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে তুরস্ক।
এদিকে তুরস্ক ১৯৯৯ সালে ১০০টি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ২২ জুলাই প্রথম চালান হিসেবে একটি বিমান হস্তান্তর করে আমেরিকা।
ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক আমেরিকা নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি ও কেনার প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে এবং ডেনমার্ক।
তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ক্রয়ে অটল থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে তুরস্কের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান না দিতে বিল পাস করে।