Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৩ কিমি রাস্তায় ১০০০ সড়কবাতি বসিয়ে সরকারকে `উচিত জবাব' দিলো গ্রামবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০৪ PM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০৪ PM

bdmorning Image Preview


সরকার জনবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মিছিল, ধর্মঘট, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচির নজির রয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু চীনের জিয়ান প্রদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দারা করলো অভিনব প্রতিবাদ। সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় ১০০০ সড়কবাতি বসিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করে ওই গ্রামবাসী।

তাওজিয়া, চীনের জিয়ান প্রদেশের এক অখ্যাত, ছোট গ্রাম। গ্রামটির উন্নয়নে কেউ কোনোদিন নজর দেয়নি। না আছে ঠিকঠাক রাস্তা, না আছে রাস্তায় কোনো আলোর ব্যবস্থা। এভাবেই বছরের পর বছর চলছিল। গ্রামের বাসিন্দাদের এ নিয়ে যেন কোনো আক্ষেপ, অভিযোগও নেই। কেউ কিছুই বলেও না। সেই গ্রামেই কিনা একদিন ঢুকেই দেখা গেল, পুরো গ্রামজুড়ে আলোর ঝলকানি। হতবাক সকলে। ব্যাপারটা কী?

রাস্তার দু’ধারজুড়ে আলোময়। ৩০ থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে বসানো হয়েছে এসব বাতিস্তম্ভ। গুনে গুনে দেখা গেল এক হাজারটি সড়কবাতি। মাত্র তিন কিলোমিটার একটি রাস্তা, তার দু’ধারে এক হাজার সড়কবাতি! সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে বসানো হয় একেকটি সড়কবাতি। এই হিসাবে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় প্রয়োজন হয় ১০টি বাতি। সেখানে ১০০০! আর এই কারণেই তো তাওজিয়াতে আঁধার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কারণ কী? কেন এত খরচ করে বাড়তি স্ট্রিট লাইটগুলো বসানো হলো? তবে এর এক অভিনব উত্তর মিলেছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য চীন সরকারের রাস্তা সম্প্রসারণ দরকার ছিল। তাই জিয়ান প্রদেশের ওই গ্রামটিকে নাকি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে যে ক’টা লাইট ছিল গ্রামে, তা ভেঙে ফেলা হয়। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীর।

তারা সংকল্প নেন, কিছু একটা করে সরকারের এই কাজের জবাব দিতেই হবে। এরপরই গায়ে গায়ে বসিয়ে দেন বড়সড় বাতি স্তম্ভগুলো। এসব দেখে তো সরকারেরও চক্ষু চড়কগাছ। এমন আলোধাঁধানো এক জায়গা কি নষ্ট করে ফেলা যায়? মোটেই না। তাওজিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, এটাই সরকারকে দেয়া তাদের উচিত জবাব।

Bootstrap Image Preview