Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের ১২ কর্মচারীর ওপর হামলা

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৩০ PM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৩০ PM

bdmorning Image Preview


পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ কোম্পানির ও পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের ১২ কর্মকর্তা কর্মচারীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।   

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন- আশুগঞ্জ কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, এমএলএসএস আল-আমিন, গাড়ির চালক খায়রুল ইসলাম, ভূমি অধিগ্রহণ অফিসের সিনিয়র সার্ভেয়ার ফজলুর রহমান, সার্ভেয়ার মনিরুল আহসান, খোকন, মজিবর রহমান, আসাদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও আব্দুল গফ্ফার।

এর মধ্যে গুরুতর আহত ফজলুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিনকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রাসহ আহতরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামে প্রায় অর্ধশত মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে এ হামলা চালায়। বিক্ষুব্ধরা এসময় কর্মকর্তাদের মারধর করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘন্টা পরে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। 

আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন জানান, সকাল ১০টায় জমি অধিগ্রহণকৃত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাড়িঘর ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ নিরুপণ করছিলেন। হঠাৎ করে ১২টার দিকে এলাকার শানু মেম্বারের (সাবেক) নেতৃত্বে তুহিন মাস্টার, আব্দুল মান্নান, জয়নাল, সজল ও মিজানসহ অর্ধশত লোক লাঠিসোটা নিয়ে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের মারধর লাঠিপেটা করা হয়। জায়গা ত্যাগে বাধ্য করা হয়। এমনকি প্রায় ১ কি.মি. দূরে নিয়ে ঘিরে রাখা হয়। 

অভিযুক্ত শানু মেম্বার জানান, আশুগঞ্জ গায়ের জোরে, ডিসি অফিসের পারমিশন ছাড়া জমি মাপজোক শুরু করলে জনগণ বাঁধা দেয়। জনগণ যা করেছে তা হামলা নয়। বাঁধা দিয়েছে মাত্র।

তিনি আরো বলেন, বসতভিটাসহ কৃজি জমিতে কোন বিদ্যুৎ প্লান্ট করার নিয়ম নেই। 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর কবল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ও এলএওএর কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেছেন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানি কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নের ৪টি মৌজা থেকে ৯৩০ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। এরা এখন পরিমাপ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজ শুরু করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 
 

Bootstrap Image Preview