ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ এবার পেলো একেবারে নতুন ও নবীন নেতৃত্ব। সোমবার (৮ এপ্রিল) রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কতৃক শপথ গ্রহণ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা তাদের জনসেবার দায়িত্ব বুঝে পেলেন।
দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল রান এবং উপজেলার নতুন মুখ মহিলা নেত্রী শেফালী বেগম।
শাহরিয়ার আজম মুন্না ২য় পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সইদুল হককে প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
শাহরিয়ার আজম মুন্না উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ'লীগের আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। তিনি শৈশব থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করেছেন। সেসময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থেকে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখার সভাপতি ও পরবর্তীতে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। তিনি এ উপজেলায় ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রার্থী হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সে বার তিনি ২৬ হাজার ভোট পেয়ে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২য় ছিলেন।
ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন সদ্য রাজনীতির ব্যানার ছেড়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি এবার প্রথম উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ৩ জন হেভিওয়েট প্রার্থীকে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের জওগা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় রাজনীতিতে তেমন প্রভাব বা পরিচিত না থাকলেও উপজেলা আ'লীগের দু'জন হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সে হিসেবে এবার উপজেলা পরিষদে সব নতুন মুখ। তারা কেমন নেতৃত্ব দেয় তা এখন দেখার পালা বলে মনে করছেন রানীশংকৈলবাসী।