Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চোধ ধাঁধানো ১০০০ সড়কবাতিতে ৩ কি.মি. রাস্তা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩০ AM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দিনরাত পুরো ২৪ ঘণ্টায়ই আলোয় ফকফকা। চোধ ধাঁধানো আলোর ঝলকানির কারণে রাত মনে হবে দিন। তাই সন্ধ্যার পর আপনি সেখানে গেলে আধার বলে যে কিছু জিনিস আছে তা বেমালুম ভুলে যাবেন।

সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে এমনই একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে, যে গ্রামটিতে দিনরাত আলোর ঝলকানি। চীনের জিয়ান প্রদেশের তাওজিয়া গ্রামে যেন ২৪ ঘণ্টায়ই দিন।

জিয়ান প্রদেশের এক অখ্যাত, ছোট গ্রাম তাওজিয়া। গ্রামটির উন্নয়নে কেউ কোনোদিন নজর দেয়নি। না আছে ঠিকঠাক রাস্তা, না আছে রাস্তায় কোনো আলোর ব্যবস্থা। এভাবেই বছরের পর বছর চলছিল। গ্রামের বাসিন্দাদের এ নিয়ে যেন কোনো আক্ষেপ, অভিযোগও নেই। কেউ কিছুই বলেও না।

সেই গ্রামেই কিনা একদিন ঢুকেই দেখা গেল, পুরো গ্রামজুড়ে আলোর ঝলকানি। হতবাক সকলে। ব্যাপারটা কী?

রাস্তার দু’ধার জুড়ে আলোময। দুটি বাতিস্তম্ভের মধ্যে একহাতও তফাৎ নেই। গুনে গুনে দেখা গেল এক হাজারটি সড়কবাতি। গুনতে গিয়েই ধরা পড়ল আসল রহস্যটা। মাত্র তিন কিলোমিটার একটি রাস্তা। তার দু’ধারে এক হাজার সড়কবাতি! সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে বসানো হয় একেকটি সড়কবাতি। এই হিসাবে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় প্রয়োজন হয় ১০টি বাতি। সেখানে ১০০০! আর এই কারণেই তো তাওজিয়াতে আঁধার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কারণ কী? কেন এত খরচ করে বাড়তি স্ট্রিট লাইটগুলো বসানো হলো? তবে এর এক অভিনব উত্তর মিলছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য চীন সরকারের রাস্তা সম্প্রসারণ দরকার ছিল। তাই জিয়ান প্রদেশের এই গ্রামটিকে নাকি তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে যে’কটা লাইট ছিল গ্রামে, তা ভেঙে ফেলা হয়। আর তাতেই ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীর।

সংকল্প নেন, কিছু একটা করে সরকারের এই কাজের জবাব দিতেই হবে। আর তাতেই গায়ে গায়ে বসিয়ে দেন বড়সড় বাতি স্তম্ভগুলো। এসব দেখে তো সরকারেরও চক্ষু চড়কগাছ। এমন আলোধাঁধানো এক জায়গা কি নষ্ট করে ফেলা যায়? মোটেই না। তাওজিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, এটাই সরকারকে দেয়া তাদের উচিত জবাব।

Bootstrap Image Preview