হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে অবতরণ করে সোহেল রানার মরদেহবাহী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে ফায়ারম্যান সোহেল রানার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হবে।
এরপর তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের পরিচালক (অপস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ জানান, মঙ্গলবার সকালে জানাজার আগে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে সম্মান জানানো হবে।
বিউগলের সুরে ফায়ার সার্ভিসের পতাকায় মোড়ানো সোহেল রানার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফায়ার সার্ভিসের চৌকস দল।
সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দমকল কর্মী সোহেল রানা।
সেখানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার জানানো হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নেয় ২৬ জনের প্রাণ, আহত হন কমপক্ষে ৭০ জন।
অগ্নিকাণ্ডের পর কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে আগুন নেভানো ও আটকেপড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ করছিলেন।
একপর্যায়ে সোহেলের শরীরে লাগানো নিরাপত্তা হুকটি মইয়ের সঙ্গে আটকে যায়। তিনি মই থেকে পিছলে পড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিলেন। এ সময় তার একটি পা ভেঙে যায়।