Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বানিয়াচংয়ে পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে পাঠদান, মৃত্যু ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:০৯ PM
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:০৯ PM

bdmorning Image Preview


হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সদর ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের রায়ের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষ স্বল্পতার কারণে পরিত্যক্ত ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পাঁচ বছর আগে স্কুল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকেরা।

জানা যায়, বানিয়াচং রায়ের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষক ও ৮০০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভবন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। অন্যটিতে ৩টি কক্ষ রয়েছে। ২টি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ।

কক্ষ সংকটের কারণে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান করানো হচ্ছে। বিগত ৫ বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশলী, ইউএনও অফিস ও উপজেলা শিক্ষা অফিস এই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।

মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে ৩ কক্ষের একটি ভবন তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩ বছর আগে। তাতেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় এক রুমে দুটি ক্লাস করে নেয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েরই জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।

৪০ জন শিক্ষার্থীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এক একটি ক্লাসে ৭০ থেকে ৮০ করে শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে। এই অবস্থার ফলে তাদের লেখাপড়ায় মারাত্নক ব্যাঘাত ঘটছে। এই পরিবেশে শিক্ষকরাও ঠিকমতো পাঠদান করাতে হিমশিম খাচ্ছেন। জায়গা স্বল্পতার কারণে শিক্ষকরা অফিসে বসে তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে পারছেন না।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক খালেদা বেগম জানান, এতো জন শিক্ষার্থী নিয়ে একসঙ্গে ক্লাস করায় ক্লাসে কোলাহলই বেশি হয়। তখন তাদের ভালো করে পড়ানোই মুশকিল হয়ে পরে।

রায়ের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান জানান, শ্রেণিকক্ষ কম থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনটি ব্যবহার করছি। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরীর জন্য সয়েল টেস্টও করা হয়েছে। কিন্ত কি কারণে কাজ শুরু হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিপুল ভুষণ রায় বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য বর্তমান ভবনের দূরাবস্থা তুুলে ধরে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন জানিয়ে আসছি। কর্তৃপক্ষ তদন্তে এসেও এর সত্যতা পেয়েছেন। তারপরও কি কারণে নতুন ভবন হচ্ছে না তা আজ পর্যন্তও জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আল নূর তারেক জানান, ইতিমধ্যে সয়েল টেস্ট হয়েছে গেছে। আশা করি শীঘ্রই কাজ শুরু করতে পারবো।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল ইসলাম জানান, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। খুব তাড়াতাড়িই ভবন পাবো বলে আশা করছি। আর পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান করতে হবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন খন্দকার বলেন, পরিত্যক্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা মোটেই ঠিক হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা হবে।

Bootstrap Image Preview