Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারী সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে 'দেহব্যবসায়ী'কে ধর্ষণের অভিযোগ !

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৫১ PM
আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৩২ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


গত ১৪ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি আবাসিক এলাকা একটি বাড়িতে অতর্কিত অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন দেহব্যবসায়ীকে আটক করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে আদালতে চালানও দেয়া হয় তাদের। অভিযানের সময় পুলিশকে টাকা দিয়ে আপস মিমাংসার প্রস্তাব দেয়া হলেও পুলিশ রাজী হয়নি। আর এ কারণে জামিনে বের হয়ে এক নারী মামলা ঠুকে দেন যাত্রাবাড়ী মডেল থানার ওসি কাজী ওয়াজেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তারা সকলেই ওই নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে। তাদের মধ্যে লাইজু নামের যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত একজন নারী সাব-ইন্সপেক্টরও রয়েছেন।

পুলিশ ইন্সপেক্টর কাজী ওয়াজেদ দীর্ঘদিন ধরে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় কর্মরত রয়েছেন। কিন্ত তার বিরুদ্ধে এমন মামলার খবরে সকলেই হতবাক হয়েছেন। স্থানীয় অনেকেরই দাবি পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে ওসি কাজী ওয়াজেদকে।

এ ব্যাপারে যাত্রবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ বলেন, আমার নামে যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে আমার দ্বারা এমন কাজ সম্ভব কি না তা আমার সহকর্মীরাই জানে। তবুও যিনি আদালতে মামলা করেছেন তার সেই মামলার তদন্তও আইনানুযায়ী চলছে। এটা আদালতের ব্যাপার। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের থানা পুলিশ এমন অভিযানের তৎপরতা বাড়ানোয় থামানোর একটা অপচেষ্টার অংশও হতে পারে এ মামলা।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘বাদী অর্থাৎ ভিকটিম তালাকপ্রাপ্ত নারী। তার দুই সন্তান রয়েছে। অভাব অনটনের মাধ্যমে সংসার চলে। গত ১২ মার্চ আসামি শফিকুল ইসলাম রনি বাদীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন যাত্রাবাড়ী থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) আ স ম মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু এবং মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশী।

ফারজানা আক্তার শশি ও বিলকিস আক্তার তাকে তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। এরপর তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে আসামি স্বপন তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। বাদীর চিৎকারে শশি ও শিলা তার গলায় বটি ঠেকিয়ে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর আসামি জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিনসহ ১০ থেক ১২ জন লোক ইয়াবা সেবন করে বাদীকে মারধরসহ ধর্ষণ করে।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তীতে বাদী ওই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর এসআই লাইজু বাদীকে প্রস্তাব দেন- ওসি ওয়াজেদ, এসআই, প্রদীপ কুমার ও আয়ান মামুদকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা হবে। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে। পরে গত ১৮ মার্চ ঘুষের টাকা না দিতে পারায় বাদীকে পতিতা সাজিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।’

মামলার এজাহারের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও অভিযোগের বর্ণনায় ওসি এবং দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষণের কোনও অভিযোগ নেই।

Bootstrap Image Preview