বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে ব্রিজের নিচে লোহার রড দিয়ে বেড়া দিচ্ছে মিয়ানমার। এতে সীমান্তে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার থেকে সীমান্তে লোহার রড দিয়ে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যানন্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সেনা সমাবেশ ও ওই এলাকায় বিজিপির টহল জোরদার করেছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে দিতে নতুন কৌশল শুরু করেছে মিয়ানমার। বেড়া নির্মাণের ফলে তুমব্রু খালে পানির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন ঘটবে এবং বর্ষায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পসহ স্থানীয়দের কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাবে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু খালে ব্রিজ নির্মাণের কারণে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে আশপাশের রোহিঙ্গারা। এর ফলে নতুন করে আতঙ্ক আরও বাড়বে।
বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেন, ব্রিজের নিচে লোহার রড দিয়ে বেড়া নির্মাণের বিষয়ে মিয়ানমার বলছে, ব্রিজের নিচ দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে যাতে কেউ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, তাই নেট দেওয়া হচ্ছে।’
আলী হায়দার আজাদ বলেন, ‘আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি টহল জোরদার করেছে। এতে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি সর্তক রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। সেই থেকে আজ অবধি সীমান্তে বসবাস করছেন তারা।