ফেসবুকে স্ট্যাটাসে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রবিবার মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত মিতুর জামিন না মঞ্জুর করেন।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ এতে বিরোধিতা করে। পরে শুনানি শেষে আদালত তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর জামিন না মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, ‘চারপাশে শুধু অকালমৃত্যুর খবর, কেউ আত্মহত্যা, কেউ হার্ট এটাক… এত অল্প বয়সে এসব মেনে নেওয়া কষ্টের।’ নিজের ফেসবুকে গত ৯ জানুয়ারি এই স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। এর পর একমাসও পার হয়নি। সেই ফেসবুকেই ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এই তরুণ চিকিৎসক। ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় শরীরে ইনজেকশন পুশ করেন আকাশ। এরপর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার। পুলিশ সুরতহাল শেষে এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করেন।
১ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এর পর থেকে কারাগারে রয়েছেন মিতু।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে চান্দগাঁও থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের মা জোবেদা খানম।
মামলায় আসামিরা হলেন-তানজিলা হক চৌধুরী মিতু (২৯), তার মা শামীম শেলী (৪৯), বাবা আনিসুল হক চৌধুরী (৫৫), বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা (২১), তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর দুই ছেলে বন্ধু উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম (২৮)। এছাড়া ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।