Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জেনেভায় তথ্যসমাজ শীর্ষক সম্মেলনের চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৪৬ PM
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৪৬ PM

bdmorning Image Preview


জাতিসংঘের তথ্যসমাজ শীর্ষ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ওয়ার্ল্ড সামিট অন দি ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) ২০১৯ সালের ফলোআপ ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য গতকাল রাতে সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন মন্ত্রী।

ফোরাম সৃষ্টির ইতিহাসে এই প্রথম টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির আন্তর্জাতিক এই ফোরামে সম্মানজনক দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আগামীকাল ৮ থেকে ১২ এপ্রিল এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৫ দিনব্যাপী ডব্লিউএসআইএস এ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশ নেবেন।

চেয়ারম্যানের দায়িত্বের বাইরেও মন্ত্রী ডব্লিউএসআইএস এ ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করবেন।

বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বহুমাত্রিক অংশীদারদের প্লাটফর্ম ডব্লিউএসআইএস ফোরাম-১৯-এর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রাক্কালে এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই যে, ডব্লিউএসআইএস এর ফোরামের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়’কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, তাদের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবরূপ লাভ করেছে এবং একের পর এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এর আগে ২০১৮ সালে ৫ম বারের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার “ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার- অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘মুক্তপাঠ’ নামক উদ্ভাবনী প্রকল্প ২০১৮ সালে এই পুরস্কার অর্জন করে।

এক দশক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই
কার্যক্রম ২০১৪ সালে আইটিইউ এর নজরে আসে এবং সেই বছর তারা দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় ডিজিটাল সেন্টার বাস্তবায়ন প্রকল্পকে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার প্রদান করে।

এছাড়া ২০১৫ সালে জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ২০১৬ সালে সেবা পদ্ধতি সহজিকরণ-এসপিএস, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন ছাড়পত্র, শিক্ষক বাতায়ন এবং কৃষকের জানালা এবং ২০১৭ সালে মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “টেলিমেডিসিন প্রকল্প”, “নাগরিক সেবা উদ্ভাবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার” এবং “ই-নথি” ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি পুরস্কার অর্জন করে।

পাঁচ দিনব্যাপী এ ফোরামে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সভাসহ শতাধিক সেমিনার ও কর্মশালা হবে। প্রতি বছর ডব্লিউএসআইএস এর এই ফোরাম যৌথভাবে আয়োজন করে থাকে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ), ইউনেস্কো, ইউএনডিপি ও ইউএনসিটিএডি।

জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনানের উদ্যোগে ২০০৩ সালে জেনেভায় ও ২০০৫ সালে তিউনিসে দুই দফায় এ শীর্ষ সম্মেলন হয়। উভয় সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের শতাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিরাজমান
ডিজিটাল ডিভাইড বা প্রযুক্তি বৈষম্য মোচনে নিজদের দেশের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জেনেভা সম্মেলনে গৃহীত ঘোষণাপত্র অনুযায়ী দেশে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে পরিকল্পনা নেওয়া হয়, যা প্রতি বছর জেনেভা ফোরামে পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে।

ফোরামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অপর সদস্যগণ হচ্ছেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল হক, ডাক ও
টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব উর্মি তামান্না, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, বিটিআরসি‘র পরিচালক (এসএস) লে: কর্নেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বিআইএমইই, ঢাকা‘র কো-ফাউন্ডার বিজয় জব্বার এবং আমাদের গ্রাম আইসিসি ফর ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিম।

মন্ত্রী আগামী ১৪ এপ্রিল ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview