ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামে মায়ের ২২ বিঘা জমি ৩ ছেলে মিলে যে যার নিজের নামে দলিল করে মা’কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাস ধরে মায়ের প্রতি শারীরিক-মানসিক, জুলুম-নির্যাতনসহ চলে নানা ধরণের গালিগালাজ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল অনুমানিক ১১টার সময় ভাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে সাদা রঙের শাড়ির উপর লাল রঙের কাপড় পড়ে বসে আছে এক বৃদ্ধা, বয়স কম হলেও ৮০ বছর তো হবেই। মুখে বিড়বিড় করে কি যেনো বলছে। আর ঠিক ঐ সময় আমাদের প্রতিবেদক বৃদ্ধার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, এখানে বিড়বিড় করে কি বলছেন?
উত্তরে বৃদ্ধা বলেন, আমার নাম আজেদা খাতুন। স্বামী মৃত বজিরউদ্দীন ওরফে মুখধুরঝাটা, গ্রাম মাগুড়ায়। গত কয়েক মাস আগে আমার তিন ছেলে মোজ্জামেল, মফিজুল, হাপিজুল মিলে আমার কাছ থেকে ২২ বিঘা জমি তারা দলিল করে নিয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
এখানে কেনো এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে এসেছি, যদি চেয়ারম্যান কিছু টাকা দেয় তাহলে খাবার কিনে খাব।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মৃত বজিরউদ্দীন ওরফে মুখধুরঝাটা এর প্রায় দেড়শ' বিঘা জমি রয়েছে তিন ছেলে মিলে ভাগ করে চাষ করে।
তারা আরো বলেন, ঐ এলাকার সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি মৃত বজিরউদ্দীন ওরফে মুখধুরঝাটা। এত জায়গাজমি থাকার পরেও যদি তার ছেলেগুলো না দেখে আমাদের কি করার আছে।
এ বিষয়ে বৃদ্ধার বড় ছেলে মোজ্জামেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমিতো একাই তার দুধ খায়নি, আরো দুই ছেলে রয়েছে তাদেরকে ফোন দেন। আমি কাজে বিলে রয়েছি দয়া থাকলে ভ্যানে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এই বলে ফোনটা কেটে দেন।
পরক্ষণেই ভাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়েছেন চেয়ারম্যান কার্যলয়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যতদূর পারি সহযোগিতা করবো। আপনি সাংবাদিক হিসাবে সহযোগিতা করুন।