Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাতে ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা আটক, সকালে মুক্ত!

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৫ PM
আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১৩ PM

bdmorning Image Preview


গাজীপুরের কালীগঞ্জে রাতে ইয়াবাসহ পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার (৩৮) ও শরীফ হোসেনকে (৩৫)  আটক করা হলেও থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমানের নির্দেশে পরদিন সকালে তাদেরকে ছেরে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তুমলিয়া ইউনিয়নের সুইচ গেইট এলাকা থেকে তাদের আটক হয়।

সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তুমলিয়া ইউনিয়নের সুইচ গেইট এলাকায় কালীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই সোহেল মোল্লাসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকা থেকে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী গ্রামের মৃত আফাজউদ্দিনের ছেলে পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার ও একই গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে শরীফ হোসেনকে (৩৫) ইয়াবাসহ আটক হয়।

বিষয়টি জানার পর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এসআই আব্দুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি জানান, ৩/৪ পিস ইয়াবা পেয়েছি। মামলা হবে তার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে জানা যায় ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুবলীগ নেতা সাত্তার এবং দুপুরে শরীফকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে অভিযানে থাকা এসআই সোহেল মোল্লাকে শনিবার সকালে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। আব্দুর রহমান স্যার বলতে পারবে। আপনি ওনাকে ফোন দেন।

এসআই আব্দুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি আগের দিনের বক্তব্য পাল্টে বলেন, ভাই কোন কিছু পাইনি। তদবির ছিল তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সকালে এক সাংবাদিকের সাথে বলেছেন ৩/৪ পিস পেয়েছেন, এখন বলছেন পাননি আসলে কোনটা সত্য?- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই এসআই থানায় এসে কথা বলতে বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

এসআই আব্দুর রহমান ও সোহেল মোল্লার ঘটনার ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুবকর মিয়া জানান, এ ব্যাপারে তিনি আসলে কিছু জানেন না। তবে জেনে জানাবেন।

Bootstrap Image Preview