Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হেলপারের অযথা চিৎকারে সামান্য হলেও হাত কেঁপে উঠেঃ আয়েশা

নারী ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৩১ PM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৩১ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীতে নারী মোটরবাইকারদের সংখ্যা বাড়ছে। কেউ আবার বাইসাইকেল নিয়ে পথে নেমেছেন। উদ্দেশ্য একটাই–সময় বাঁচানো। অনেকে আবার পেশা হিসেবেও বাইক চালাচ্ছেন।

বাইসাইকেল নিয়েও পথে নামছেন নারীরাআসাদগেটে মা ও ছেলে হেলমেট পরে চলছেন—এই দৃশ্য হঠাৎ চোখ আটকায়। মা আয়েশা শারমিন জানালেন, ছেলেকে নিয়ে মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর স্কুলে আনা–নেওয়া করার জন্যই তিনি মোটরবাইক কিনেছেন এবং চালানো শিখেছেন।

আয়েশা শারিমন বললেন, ‘খুব সাবধানে গাড়ি চালাই। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বেপরোয়া বাস পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হেলপার অযথা উচ্চ স্বরে চিৎকার করে, যা শুনে সামান্য হলেও হাত কেঁপে যায়।’

পেশাদার মোটরবাইকচালক নুসরাত জাহান বলছিলেন, ‘সাহস নিয়ে এই শহরে বাইক চালানো মুশকিল। বেশির ভাগ সময় গতির কারণে অন্য বাইকারদের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের চালকেরা বেপরোয়া হর্ন দিতে থাকেন। এতে করে বিভ্রান্ত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়।’ কথা শেষে এই বাইকচালকের প্রশ্ন—কবে সড়ক নিরাপদ হবে?

এক নারী বাইক চালাচ্ছেননীরা আক্তার নিয়মিত মোটরবাইক চালিয়ে অফিস করেন। জানালেন, ১০ দিন ধরে বাসা থেকে তাঁর মা বাইক বের করতে দিচ্ছেন না দুর্ঘটনার ভয়ে। অথচ নিজের বাহন থাকায় সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। কিন্তু রাজধানীতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবরে পরিবারের সবাই আতঙ্কিত।

নীরা আক্তার বললেন, ‘রাজধানীতে সবাই এমনভাবে বাইক নিয়ে ছোটে, মনে হয় বাতাসের গতিকে হার মানাবে। বাইক, বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য আলাদা লেন ব্যবহার করলে এসব দুর্ঘটনা কমানো যেতে পারে।’

Bootstrap Image Preview