Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে নারী বাবুর্চিকে ধর্ষণের অভিযোগ

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৮ PM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৮ PM

bdmorning Image Preview


বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী বাবুর্চিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের এলএমএসএস আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী নারী ভোলার লালমোহনের কালমা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ছয় বছর ধরে তিনি ঢাকার লক্ষীবাজারে অবস্থিত ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের হোস্টেলে বাবুর্চি হিসেবে অস্থায়ীভাবে কাজ করে আসছেন। চাকরির সুবাধে ওই কলেজের এমএলএসস আব্দুল হাই কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফসানা হাসানের প্রভাব খাটিয়ে তার চাকরি স্থায়ীকরণ ও বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তিনি প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে অধ্যক্ষ আফসানা বেগমকে দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্তের হুমকী দেন। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। যার ফলে চারবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তিনি। প্রতিবারই আব্দুল হাই ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। উপায় না পেয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এদিকে আব্দুল হাই চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফসানা বেগমকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে বললে বাড়ির গহনা ও মালামাল বিক্রি করে তাকে টাকা দেই। চাকরি স্থায়ী না করে ওই টাকা আত্মসাৎ করে আব্দুল হাই। বিয়ে করার বিষয়েও টালবাহানা শুরু করে সে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফসানা হাসান দুর্নীতির দায়ে একবার বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ওই কলেজে।

কলেজের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এলএমএস আব্দুল হাই কর্তৃক এ ঘটনার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফসানা হাসান কোন ব্যবস্থা নেননি। তার প্রশ্রয়ে আব্দুল হাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আফসানা হাসানকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ফোনে কোন বিষয়ে কথা বলতে পারব না। সরাসরি আমার সাথে এসে কথা বলেন।

অপরদিকে ভুক্তভোগী ওই নারী তার সাথে হওয়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি। বর্তমান অধ্যক্ষ ব্রিগেঃ শরীফ আহম্মেদের নিকট সাংবাদিক পরিচয়ে জানতে চাইলে তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অভিযুক্ত আব্দুল হাইকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 

Bootstrap Image Preview