গেল বিপিএল আসরে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে সকলের নজরে চলে এসেছিলেন। তবে এর এক ম্যাচ পরেই গুরতর ইনজুরি নিয়ে মাঠে বাইরে ছিটকে যান। ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া বিপিএলের এক মাসের কর্মযোগ্য শেষ হওয়ার পেরিয়ে গেছে লম্বা সময়। তবে এখনো ইনজিুরি কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠদে পারেননি ঢাকা ডায়নামাইসের ক্রিকেটার আলিস আল ইসলাম।
১৮ জানুয়ারি বিপিএলে সিলেটে বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় বাউন্ডারিতে হাঁটুতে টান লাগে আলিসের। এরপর বল করতে এসে দ্বিতীয় দফায় হাঁটুতে টান অনুভব করেন। সে সময় সতীর্থদের কাঁধে ভর করে মাঠ ত্যাগ করেছিলেন। এক্স-রের পর খবর আসে, ডান পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে, অস্ত্রোপচার জরুরি।
যদিও এর আগে রংপুরের বিপক্ষে করা তার হ্যাটট্রিক নিয়েও উঠে যায় প্রশ্ন। ম্যচের পরেই তার বোলিং একশন নেয় প্রশ্ন তোলেন অধিনায়ক মাশরাফি। পরবর্তিতে ম্যাচ আম্পায়ার তার সবকটি ডেলিভারির একশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।
অবৈধ বোলিং একশনের খড়গ মাথায় নিয়েই গত ২৭ মার্চ তার পায়ে অস্ত্রোপচার করানো হয়। ভারতে অস্ত্রোপচার শেষে ৩১ মার্চ ফেরেন দেশে। অস্ত্রোপচার শেষে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেম প্রায় ৪০ দিন বিছানায় শুয়ে কাটাতে হবে তাকে। এরপর হালকা ব্যায়াম ও থেরাপির মধ্যে নিজের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া মধ্যে আছেন। তবে মাঠে ফিরতে আরো পাঁচ মাস সময়েরে প্রয়োজন আলিসের।
আলিস বলেন, ‘পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে তো পাঁচ মাসের মতো লাগবে। শেষ তিন মাস তো শুয়ে-বসেই আছি। এখন আবার পাঁচমাস যোগ হলো। ইনজুরি তো যে কোনো সময় হতে পারে। সেটা ক্যারিয়ারের শুরুতে হোক বা শেষে হোক। ক্রিকেটের সবক্ষেত্রে সব জায়গায় ইতিবাচক থাকা ভালো। যেহেতু হয়ে গেছে, কী করার থাকতে পারে। এখন সুস্থ হয়ে যেন ভালোভাবে ফিরতে পারি, সেটাই মূল বিষয়’
অস্ত্রোপচারে সময় আলিস পাশে পেয়েছেন তার বিপিএলের দল ঢাকা ডায়নামাইটসকে। তবে মাঠে ফিরে আসার পরই তাকে বোলিং একশনের নিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। সেই লড়াইটা একাই লড়তে হবে আলিসকে।