বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, আমি অভিভুত হয়েছি বাংলাদেশের মানুষের আয় উন্নতি দেখে।সাতদিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে ও তাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। বাসাবাড়িতে টিউবয়েল, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, টিনের ঘর, ফসলি জমি ও তাদের উন্নত জীবনমান দেখে আমি অভিভূত।
নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী পূর্বপাড়া গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দেখার পর রবার্ট ডিকসন এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে ওই ইউনিয়নে ব্র্যাকের (আল্ট্রা পুওর গ্রাজুয়েশন প্রোগামের) হতদরিদ্র পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নের চিত্র ঘুরে দেখেন তিনি।
গ্রামীণ চিত্র তুলে ধরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যে মানুষটি এক সময় একবেলা খেতে পারতো না, তারা আজ উন্নত জীবনযাপন করছে। ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া শিখে সুখী জীবন গড়ে তুলছে। আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে হাস, মুরগী, গাভী, মাছ চাষ, সবজী চাষ ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা চাইবো ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিক। এখন এদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। বাংলাদেশ আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাক এ কামনাই করি। এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ব্যবসায়িক পরিবেশও ভালো। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। বাংলাদেশের মানুষের ব্যবসায়িক সক্ষমতা রয়েছে। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ায় সে ব্যাপারে দেশে ফিরে গিয়ে বলবো। বাংলাদেশ সম্পর্কে বাইরের দেশের কোম্পানিগুলোর যে খারাপ ধারণা আছে, সেটি আসলে ঠিক নয়। আমি হাইকমিশনার হিসেবে তা বিশ্বাস করি না।’
এসময় ডিকসনের সফর সঙ্গী ছিলেন, জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মুসা, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রেদওয়ানুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার রোজিনা হক, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি লাইলুন নাহার প্রমুখ।