Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্ত্রীর জন্য খাট বানিয়ে পেলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:২৪ PM
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ১০:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


স্ত্রী শয্যাশায়ী। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি মলত্যাগ বা মূত্রত্যাগ করতেও পারেন না। স্ত্রীকে সাহায্যার্থেই এক অভিনব উপায় বের করলেন সারাভানামুথু। সেই ‘উপায়’ই তাঁকে এনে দিল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।

২০১৪ সালে এস সারাভানামুথুর স্ত্রী কৃষ্ণাম্মাল শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন টানা তিন মাস। কারও সাহায্য ছাড়া কৃষ্ণাম্মাল মলত্যাগ বা মূত্রত্যাগ করতেও যেতে পারতেন না তাঁর স্ত্রী। তখনই বিছানার মধ্যেই ‘টয়লেট পট’ সংযোগের কথা ভাবেন ঝালাই কর্মী সারাভানামুথু।

১২ ভোল্টের ব্যাটারি, ২ গিয়ারের মোটর রয়েছে এতে। ফলে টয়লেট পট বেঁকে গিয়ে বর্জ্য নিষ্কাশন হয়ে যায় নিজে থেকেই। ফ্লাশ ট্যাঙ্ক, ক্লোসেট, পাইপ যুক্ত থাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে।

রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ফ্লাশিং সিস্টেমও রয়েছে, ফলে সহজে ফ্লাশও করা যায়। রোগী সহজেই রিমোট ব্যবহার করতে পারেন ।

কোনও প্রথাগত শিক্ষা নেই, নেই কোনও বিশেষ প্রশিক্ষণ। তাও একেবারে নিজের চেষ্টাতেই বিশেষ প্রযুক্তির এই খাট বানিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন ইনি। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সারাভানামাথুর তৈরি এই খাট প্রথম কিনতে চান চেন্নাইয়ের এক ব্যক্তি, যাঁর মা ছয় বছর শয্যাশায়ী।

চেন্নাইয়ের ব্যক্তি প্রথম ওই বিশেষ খাট কিনতে চেয়ে অগ্রিম টাকা দেন। কয়েক মাস পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের সঙ্গেও দেখা করেন সারাভানামাথু। তখনই তাঁকে ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনে আবেদন করতে বলেন।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের থেকে তিনি একটা ট্রফি, একটা শংসাপত্র, দু’লক্ষ টাকা পেয়েছেন। প্রোটোটাইপ তৈরি বাবদ ৩৫ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যে গ্রামবাসীরা ঠাট্টা করত, তাঁরাই আজ গর্বিত সারাভানামাথুর জন্য, বলেন তিনি।

শুধু চেন্নাই থেকেই ৩৫০টি টয়লেট পটওয়ালা খাটের বরাত পেয়েছেন তিনি। তবে সারাভানামাথুর মূল লক্ষ্য জ্বালানিমুক্ত গাড়ি তৈরি করে সন্তানদের রোল মডেল হওয়া। এ নিয়ে কাজও করছেন তিনি।

Bootstrap Image Preview