Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওয়াসিমের মরদেহ উত্তোলনের আদেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:০৩ PM
আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:০৩ PM

bdmorning Image Preview


সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী।

সোমবার আদালত থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মো. ওয়াসিম আব্বাসের মরদেহ আগে ময়নাতদন্ত না হওয়ায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন বিচারক।

ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সমস্ত কাজের সমন্বয় করে আদালতকে অবহিত করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের এসআই গিয়াস উদ্দিন খান।

এই কাজে সহযোগিতার জন্য হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সপার ও ওসিকে অনুলিপি দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহম্মদ বলেন, শিক্ষার্থী ওয়াসিমকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন উদার পরিবহনের চালক জুয়েল আহমদ ও হেলপার মাসুক মিয়া। পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২৩ মার্চ শনিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আব্বাসকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় গাড়ির চালক জুয়েল, হেলপার মাসুক মিয়া এবং সুপারভাইজার সেবুল মিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা করে।

এ মামলার দুই আসামি উদার পরিবহনের বাসচালক জুয়েল আহমদ ও হেলপার মাসুককে ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হত্যা মামলা দায়ের করার পর তাদেরকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তবে মামলার ওপর আসামি বাসের সুপারভাইজার সেবুল মিয়া পলাতক রয়েছেন।

Bootstrap Image Preview