দিনভর আবহাওয়া উষ্ণ থাকলেও গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীতে হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হয়। সেই সঙ্গে শিলাসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। বেশ কিছু স্থানে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। ঝড়ের আঘাতে রাজধানীতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।ঝড়ের কারণে কোনো কোনো জায়গায় ছয় ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল ঢাকা। এমন ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে সোমবারও (০১ এপ্রিল)।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। তবে এবার দুযোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হয়েছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলার প্রকৃতিতে সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাস। এ কয়েক মাসেই সচরাচর বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী আঘাত হানে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, রবিবার আঘাত হানা ঝড়ে প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭৪ কিলোমিটার। এটা কালবৈশাখী ঝড়। এ মৌসুমে ঢাকায় এটাই বড় ঝড় বলে জানান আবহাওয়াবিদ আরিফ।
প্রতিঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৬০ কিলোমিটারের উপরে থাকলে সেটি কালবৈশাখী ঝড় হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদফতর। ওই ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি, বজ্র ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৭ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৪ মিলিমিটার, সিলেটে ২৪ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ২৫ মিলিমিটার, রংপুরে ৩০ মিলিমিটার, খুলনায় ১৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমিটার হয়েছে কুমিল্লায়।
আরিফ হোসেন আরও বলেন, সোমবারও (১ এপ্রিল) ঢাকায় ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ১২টা হতে পরবর্তী ৯ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়োহাওয়া ও শিলাবৃষ্টিসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার দৃশ্যপটে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।