আজ ১০৭ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন। ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ভোট গ্রহণের সময় নাম-পরিচয় গোপন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন আবুল বাশার নামে এক ব্যক্তি। যখন ধরা পড়লেন, জানা গেল সপ্তাহ খানেক আগে হয়ে যাওয়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচত হন তিনি!
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে দুপুর ১২টার দিকে তাকে আটক করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার ঘোষ। জানা গেছে, ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কালাম।
ধামরাইয়ের আমসিমুর সেপিপ মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এই আবুল বাশার। চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কান্দাপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। গত ২৪ মার্চের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে দাঁড়িয়ে একই জেলার সাটুরিয়া উপজেলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
তথ্য গোপন করে দায়িত্ব পালনের দায়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি যে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন সে কেন্দ্রে পাওয়া গেছে অসামঞ্জস্যতাও। কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে প্রায় ৪০%। যেখানে অন্যান্য কেন্দ্রে গড়ে ২% থেকে ১০% পর্যন্ত ভোট পড়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রের মোট ১৮৯১ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭০০ ভোট পড়ায় সন্দেহ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার ঘোষ। কেন্দ্রের যে কক্ষে আবুল বাশার দায়িত্ব পালন করছিলেন সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, বেশ কিছু ব্যালট পেপারে ভোটারের টিপসই, সিল নেই। কেন্দ্রে পাওয়া যায়নি ভোটগ্রহণের ৪ নম্বর বুথের পোলিং অফিসার দেলোয়ার হোসেনকেও। আবুল বাশারকে আটকের পর কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুনীল কুমার ভৌমিককে। পরবর্তীতে তিনি প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আবুল বাশারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানাননি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণব কুমার ঘোষ। তবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানানো হবে।