গাজীপুর মহানগর ও জেলার চারটি পৃথক স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে সিটি করপোরেশনের ভোগড়া ও চান্দনা, সদর উপজেলার মির্জাপুর এবং শ্রীপুর উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ওইসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জেলার জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিটি করপোরেশনের ভোগড়া এলাকার গরিব অ্যান্ড গরিব সোয়েটার কারখানার ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয়তলায় আগুন লাগে।
খবর পেয়ে জয়দেবপুর, টঙ্গী ও শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের সাতটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ওই ফ্লোরে থাকা সোয়েটার ও সুতা পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক গলোযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, সোমবার ভোরে সিটি করপোরেশনের চান্দনা দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. সাইফুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নেভায়। আগুনে ওই বাড়ির সাতটি কক্ষ ও একটি দোকান এবং মালামাল পুড়ে গেছে। বজ্রপাতের বিকিরণ থেকে গ্যাসের রাইজারে আগুন লেগে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে মালামাল পুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা রামপ্রসাদ পাল জানান, রবিবার রাত আটটার দিকে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার হাজী রোকন এবং জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে আগুন লাগে। শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। আগুনে হাজী রোকনের বাড়ির ২০টি কক্ষ এবং জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির ১১টি কক্ষ ও মালামাল পুড়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মোমবাতির আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
এছাড়া রাত পৌনে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মির্জাপুর বাজারের মালাকার মার্কেটে আগুন লাগে। ওই বাজারের ভাওয়াল রাইস এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী মো. মোতালেব জানান, স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। আগুনে ওই মার্কেটের মুদি, সেলুন ও একটি হার্ডওয়ারসহ পাঁচটি দোকান ও দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে।