Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুবর্ণচরে সেই রুহুল আমিনের কলা বাগানেই আবার গণধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩১ AM
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে পাঁচ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উত্তর বাগ্গা গ্রামে জাতীয় নির্বাচনে গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি সেই রুহুল আমিনের কলা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নির্যাতিতা নারী ও তার স্বামী অভিযোগ করেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাদের পছন্দের প্রার্থী তাজ উদ্দিন বাবরের চশমা প্রতীকে ভোট দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহারের সমর্থকরা ভোটের দিন ওই নারী ও তার স্বামীকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এতে ভয়ে তারা উপজেলার পশ্চিম চরজব্বার ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে না গিয়ে বিকেলে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

পরে বাড়িতে থাকা সন্তানদের কথা চিন্তা করে রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে তালা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝিসহ কয়েকজন তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ওই নারীর স্বামীকে মারধর করে তার মুখ বেঁধে ফেলে।

পরে বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার ওই নারীকে গত সংসদ নির্বাচনে আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিনের কলা বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে বলে নির্যাতিতা নারী অভিযোগ করেন। পরে তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এবং রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আজিম জানান, ওই নারী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন বলে তাকে জানিয়েছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। গুরুতর আহত ওই নারী ও তার স্বামীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর ধর্ষণ-সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষাগুলো আজ করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে এ খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে এসে নির্যাতিতা ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিশা।

তিনি জানান, তাদের মুখ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনেছেন। এখন তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে একই উপজেলায় গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে ভোটের জেরে চার সন্তানের এক জননী গণধর্ষণের শিকার হন। সেই ঘটনার ঠিক তিন মাসের ব্যবধানে আবারো আরেক ভোটের রাতে একই ঘটনা ঘটলো। 

Bootstrap Image Preview