Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাজিয়া সোফিয়া মূলত মসজিদ: এরদোগান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:৩২ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, হাজিয়া সোফিয়া মূলত মসজিদই ছিল। আইনিভাবে এটিকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

শুক্রবার টিআরটির এক সরাসরি সম্প্রচারে অংশ নিয়ে এরদোগান হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরিত করার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।

এরদোগান বলেন, হাজিয়া সোফিয়ার স্থাপনাটি মূলত মসজিদের। বর্তমানে তা জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্থাপনাটির কিছু অংশ সংস্কার করে আমরা এটিকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।

তবে আইনি বৈধতা ও সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার পরই সেখানে নামাজের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মসজিদ আর জাদুঘরের বিষয়টি স্পষ্ট করে এরদোগান জানান, হাজিয়া সোফিয়ার স্থাপনাটি কি মসজিদ না জাদুঘরের? এ বিষয়ে আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। বিষয়টি স্পষ্ট হতে হবে। হাজিয়া সোফিয়াকে কিছুদিন আগে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এটি মূলত মসজিদই ছিল। এর সত্যতা আমরা জানাতে চাই।

হাজিয়া সোফিয়ার ভেতরের অংশ

প্রসঙ্গত, হাজিয়া সোফিয়া সাবেক গির্জা ও মসজিদ। বর্তমানে সেটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে কোরআন তেলাওয়াত ও নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলে প্রায়ই খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা এটির অসাধারণ স্থাপত্যশিল্প উপভোগের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। কিন্তু এটিকে নতুন করে মসজিদে রূপান্তরিত করা হলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেবে।

এমনকি গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের পুরনো শত্রুতা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।

স্থানটি আন্তঃধর্মীয় ও কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ষষ্ঠ শতকে খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শাসনামলে হাজিয়া সোফিয়া নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন এটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

কিন্তু ১৪৫৩ সালে উসমানীয় খলিফাদের কাছে কনস্টান্টিনোপেলের পতন ঘটলে সেটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়।

১৯৩৫ সালে তুর্কি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের প্রতিষ্ঠাতা মসজিদটিকে জাদুঘর বানিয়ে ফেলেন।বর্তমান এরদোগান সরকারের আমলে সেটিকে ফের মসজিদের রূপে ফিরিয়ে আনা নিয়ে আলোচনা চলছে।

গত কয়েক বছর ধরে তুর্কি মুসলমানরা সেখানে নামাজ আদায় করছেন। তারা জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাজিয়া সোফিয়ায় গেল ৮৫ বছরের মধ্যে ২০১৫ সালেই প্রথমবারের মতো একজন আলেম কোরআন পাঠ করেন।

এর পর থেকে তুরস্কের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর রমজানে সেখানে কোরআন পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

Bootstrap Image Preview