অবিশ্বাস্য এই কাজটি করে দেখিয়েছেন চট্টগ্রামের আমান বাজার এলাকার দুধ বিক্রেতা আরিফ। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের আমান বাজার এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই কাণ্ডের জন্য তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আরিফ যে বাসায় থাকতো সেই বাসাটি থেকে প্রতি রাতে মেশিনের শব্দ শোনা যেত। কিন্তু কি করতো সেটা কেউ বুঝতে পারেনি।
রুহুল আমিন বলেন, ‘বাসায় প্রতি রাতে পাউডার দুধ গুলে তৈরি করতেন ১৫০ থেকে ১৮০ লিটার তরল দুধ। এরপর আজ সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা ৮০ লিটার গরুর দুধের সাথে গুঁড়ো দুধের তরল মিশিয়ে বিক্রি করতেন।’
এ ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, বরিশালের চন্দ্রমোহন এলাকার আরিফ হোসাইন দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়ে ভেজাল দুধের কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। এক ভাগ খাঁটি দুধের সঙ্গে পাউডার ব্লেন্ড করে দুই গুণ পানি মিশিয়ে গরুর দুধের নামে বিক্রি করত।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ স্বীকার করেছেন, ক্রেতারা যাতে ভেজাল দুধের মধ্যে খাঁটি দুধের সুঘ্রাণ পান সে জন্যই ৮০ লিটার দুধ কিনে আনতেন। ওই দুধের সঙ্গে ভেজাল মিশিয়ে তিনি বিক্রি করতেন ২৪০ লিটার। মিষ্টির দোকানে সরবরাহের পাশাপাশি খুচরা গ্রাহকদের কাছেও এ দুধ বিক্রি করতেন তিনি।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আরিফের ঘর থেকে ২৫০ লিটার দুধ ও পাউডার জব্দ করে এতিমখানায় বিলি এবং আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।