Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাকিস্তানকে মারতে গিয়ে ভুলে নিজেদের হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছিল ভারত!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০৫:৪৮ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০৫:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতের বিমান হামলার জবাবে পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশে হানা দেয় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। এসময় ‘ডগ ফাইটে’ একটি ভারতীয় মিগ-২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় এবং এর পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান।

একই সময়ে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর অংশে একটি এমআই-১৭ মডেলের ভারতীয় হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমান বাহিনীর ছয় কর্মকর্তাসহ সাতজন নিহত হন।

ওই সময় পাকিস্তান দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করলেও কোনো হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি জানায়নি।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির বরাত দিয়ে শুক্রবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, সম্ভবত ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারে’ ভূপাতিত হয়েছিল হেলিকপ্টারটি।

দ্য ইকোনমিক টাইমসকে উদ্ধৃত করে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানায়, ওই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে পাকিস্তানি বিমান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ভারতের বিমান বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

তদন্তকারীরা এখন পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের সেই মুহূর্তগুলো আবারো তদন্ত করে দেখছেন। শেষ মুহূর্তে আসলেই কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আইএফএফ (আইডেনটিটি, ফ্রেন্ডস অর ফো তথা শত্রু-মিত্রের পরিচয় শনাক্ত) ব্যবস্থা চালু নাকি বন্ধ ছিল, কী ধরনের ভুল হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দ্য ইকোনমিক টাইমস বলছে, হেলিকপ্টারটি নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। এতে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়।

বলা হচ্ছে, রাশিয়ার তৈরি ১৭ মিলিয়ন ডলারের শক্তিশালী এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি সাধারণত কারিগরি ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে না। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের যন্ত্রপাতিও ছিল নতুন। এটি সার্ভিসে আসে ২০১২ সালে।

সূত্র জানায়, নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) ভেবে টার্গেটিং সিস্টেমের ভুলে হেলিকপ্টারটির ওপর হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তে বিকট শব্দ শোনা যায় বলেও জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানায়, ইসরায়েলে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের ত্রুটির বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কোন কোন সেনা সদস্য এর সঙ্গে জড়িত সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় জড়িতদের সামরিক আদালতের মুখোমুখি করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই জেলায় সিআরপিএফ গাড়িবহরে এক আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় কমপক্ষে ৪৯ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হন। আহত হন আরও ডজনখানেক।

পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের কথিত আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ৩৫০ জন জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে ভারত। যদিও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কেবল একজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন।

Bootstrap Image Preview