Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০৩:৫১ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০৩:৫১ PM

bdmorning Image Preview


জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক ওরফে বাপ্পী ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুস সাকিবকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।  এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, লিফলেট, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর র‌্যাব-১১ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল কাজী শামশের উদ্দিন এ তথ্য জানান।

এর আগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন ১নং লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক ওরফে বাপ্পী ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুস সাকিব ২০১১ সালে আহসান উল্লাহ ইউনির্ভাসিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে বিবিএ পাস করেন। ২০১৩ সালে এমবিএতে অধ্যায়নরত সময় জসিম উদ্দিন রাহমানির বছিলা মসজিদে বয়ান শুনতে যেতেন। জসিম উদ্দিন রহমানির বয়ানের মাধ্যমে তার মাঝে উগ্রবাদী চেতনা জাগ্রত হয়। ওই সময় একই মসজিদে জেএমবি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আব্দুল্লাহ আল মামুন তৎকালীন জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান ছিলেন। তার মাধ্যমে ২০১৩ সালে সাকিব জেএমবিতে যোগদান করে।

২০১৬ সালে বাগেরহাট জেলা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল্লাহ আল মামুন নিহত হলে তার স্থলে সাকিব দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। সাকিব দায়িত্ব পাওয়ার পর খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জেএমবির কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। ইতিপূর্বে গ্রেফতার মাহবুবুর রহমান উকিল, কাইয়ুম হাওলাদার, কাউছার বিন হালিম, হামদান বিন ফিরোজ, মামদুদুর রহমান মিশু, কামরুল, ইউনুছসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৫০ জন সদস্য সাকিবের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগ দেয় বলেও উল্লেখ করেন সিও। যাদের অধিকাংশ সদস্যকে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে।

তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক ওরফে বাপ্পী ওরফে সাকিব ওরফে নাজমুস সাকিব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানায়, প্রথম পর্যায়ে তিনি জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা শুরু হলে সাকিব ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন। তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে জেএমবির দাওয়াতি কাজে মনোনিবেশ করে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব আরও জানান, তিনি জেএমবিকে পুনর্গঠিত করার জন্য অস্ত্র সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছেন এবং জামালপুর জেলার যমুনা নদীর চরে জেএমবির নতুন ১টি প্রশিক্ষণ শিবির খোলার কথা ছিল।

তার বিরুদ্ধে বাগেরহাটে কচুয়া থানায় ১টি, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ১টি, নরসিংদী সদর থানায় ১টি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন (পিপিএম)।

Bootstrap Image Preview