Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কিশোরগঞ্জে শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে বাবা-ছেলে গ্রেফতার 

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০২:৫০ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ০২:৫০ PM

bdmorning Image Preview


কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মাইজচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তারমিন আক্তারকে (১২) অপহরণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব ক্যাম্প র‌্যাব সদস্যরা।

অপহরণকারীরা হলেন- মইনউদ্দিন (১৮) ও তার পিতা কাজল মিয়া ( ৫৮) । তাদের বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর গ্রামে ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) গভীর রাতে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার নাজিরদীঘি গ্রামের জনৈক সিরাজ মিয়ার বসতঘর থেকে দু'জনকে আটক করে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ভৈরব র‌্যাব -১৪ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনের র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে জানান, ওই শির্ক্ষাথী ২১ মার্চ অপহরণের পর ২৭ মার্চ ভিকটিমের বাবা ইকবাল হোসেন বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

তারপর পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হলে র‌্যাব সদস্যরা বিভিন্ন অনুসন্ধান করে শুক্রবার রাতে অপহরণকারীদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ঘটনার ৬ দিন পর ওই ছাত্রীর পিতা বাজিতপুর থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে।

এই মামলায় পিতাপুত্র ছাড়াও মইনউদ্দিনের মা মেহেরবানু (৫০) ও সুফিয়া আক্তারকে আসামী করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয় ঘটনার দিন মইনউদ্দিন ছাত্রীকে ফুসলাইয়া বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেলায় যাওয়ার কথা বলে সিএনজি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়া নিয়ে যায়। এরপর ঘটনাটি ভিকটিমের বাবা মইনউদ্দিনের বাবা-মাকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার পর ভিকটিমের বাবা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করার পর কুলিয়ারচরের আনিস মেম্বারের সহযোগীতায় কুলিয়ারচরের উসমানপুর থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

এজাহারে অভিযোগ করা হয় ছাত্রীকে অপহরণের পর তাকে ধর্ষণ করা হয়। তাকে উদ্ধারের পর ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানান র‌্যাব।  

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পে আটককৃত অপহরণকারী মইনউদ্দিন বলেন, শিশু শিক্ষার্থী তারমিন আক্তারের সাথে র্দীঘদিনে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। হঠাৎ একদিন সে ফোন করে বলে তোমার জন্য আমি আমার মায়ের আছে অনেক মার খেয়েছি, আর মার খেতে চায় না আমাকে নিয়ে পালিয়ে যাও তুমি। তারপরই তাকে নিয়ে আখাউড়ায় পালিয়ে যায় বলে জানায় অপহরণকারী। সে ছাত্রীকে অপহরণ করেনি বলে দাবী করে।

তার বাবা জানান, ছেলের ঘটনা আমি কিছুই জানিনা। অথচ মামলায় আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে আসামী করা হয়। 

Bootstrap Image Preview