Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বরিশালে মাদরাসা ছাত্রীকে ২ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১২:০৬ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১২:০৬ PM

bdmorning Image Preview


বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মাদরাসা পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দু'দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণকারী একটি আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।  

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ষোলঘর গ্রামের সৌরভ আলী ওরফে সরুবালী দেওয়ানের ছেলে চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র জাহাঙ্গীর হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী চরকালেখান নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

পরে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের ভগ্নিপতি বেল্লাল খান কৌশলে ছাত্রীকে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেন।

মাদরাসা ছাত্রী জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে জাহাঙ্গীর, তার বন্ধু মো. রাব্বী ও ভেদুরিয়া গ্রামের লালু খানের ছেলে ইমরান খান তার পথরোধ করে এবং কথা আছে বলে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাকে জোর করে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে মৃধারহাট খেয়াঘাট পাড় হয়ে ভেদুরিয়া গ্রামের লালু খানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও চিত্র দেখিয়ে জাহাঙ্গীর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

সংবাদ পেয়ে জাহাঙ্গীরের ভগ্নিপতি ও ষোলঘর গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের ছেলে বেল্লাল হোসেন খান বৃহস্পতিবার বিকেলে লালু খানের বাড়ি থেকে ছাত্রীকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়ি পৌঁছে মাদরাসা ছাত্রী সবকিছু বলে দিলে তার স্বজনরা জাহাঙ্গীরের বাবা-মা ও স্থানীয়দের কাছে বিচারের দাবি জানান। 

ছাত্রীর স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীরের বাবা-মা ও স্থানীয় সালিশরা বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ বৈঠকের আশ্বাস দিলেও শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কোনো বৈঠকে বসতে পারেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জাহাঙ্গীরের পিতা-মাতা ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বৈঠকের নাম করে সময়ক্ষেপণ করছে।

চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছাত্র নিয়মিত ক্লাস করে না। সে নামমাত্র এই বিদ্যালয়ের ছাত্র।

এ ব্যাপারে মুলাদী থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল আহসান জানান, ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Bootstrap Image Preview