Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্ষমতায় আসলে খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশি তাড়াব, হুঙ্কার অমিত শাহের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:১৩ AM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯, ১০:১৩ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিজেপির এবার ক্ষমতায় আসলে পশ্চিমবঙ্গে থেকে খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসাম রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন অমিত। শুরুতেই দলের সেই পুরনো হিন্দুত্ববাদকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন তিনি।

এজন্য আসামের মতো এ রাজ্যেও চালু করা হবে ‘জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন’ (এনআরসি)। তবে হিন্দু ও বৌদ্ধদের সুরক্ষা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অমিত শাহের এ হুঙ্কারের আগে প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক দল শিবসেনা। বৃহস্পতিবার তারা জানায়, প্রদশটিতে ১৫টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা। খবর এনডিটিভি ও ওয়ান ইন্ডিয়ার।

১১ এপ্রিল ভারতে লোকসভা নির্বাচন। ভোটার প্রায় ৯০ কোটি। তাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ও হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। এরই ধারাবাহিকতায় এদিন দলীয় প্রার্থী জন বার্লার সমর্থনে আলিপুরদুয়ারে প্রচারে নামেন অমিত। শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘মোদি সরকার ফের ক্ষমতায় এলেই আমরা বাংলায় এনআরসি আনব।

এ সময় এনআরসি বাস্তবায়ন হলে রাজ্যের সব শরণার্থীর অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে দাবি করেন অমিত। এরপর তিনি বলেন, এনআরসি জনগণের প্রতি আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ। হিন্দু ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের কোনো ভয় নেই। তাদের দেশছাড়ার দরকার হবে না। তারা যাতে এখানে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে পারে আমরা তা নিশ্চিত করব।

মমতার উদ্দেশে অমিত বলেন, তিনি বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তার দাবি, মাদ্রাসাকে ৪ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারদের কোনো গুরুত্ব নেই তার কাছে। তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের সব মসজিদের ইমামকে মাসে মাসে ভাতা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মন্দিরের পুরোহিতদের দেয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি এনআরসি তালিকা থেকে আসামের প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। নাগরিক তালিকা থেকে ঠিক কী কারণে নাম বাদ পড়ল- জানার অপেক্ষায় রয়েছেন আসামের ওই ৪০ লাখ বাসিন্দা।

এর আগে আসাম রাজ্য কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই রাজ্যে ৪০ লাখ বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী। যারা নিজেদের ভারতের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে না, তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন এবং রাষ্ট্রহীন হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

কেউ কেউ মনে করছেন, এ ধরনের কার্যক্রম নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান বাড়ানোর চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার বলেন, আমরা আজ ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলাম। খুব শিগগিরই আরও চারজনকে মনোনয়ন দেব। পশ্চিবঙ্গে বিজেপি কখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পেরে ওঠে না। তাই শিবসেনা এখানে এসেছে।’ তমুলক, কাঁথি, মেদিনীপুর, উত্তর কলকাতা, পুরুলিয়া, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া, বারাসত, বিষ্ণুপুর, উত্তর মালদা ও যাদবপুরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা ১৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাফল্যের মুখ দেখেনি।

রেলটিকিটের পর ভাইরাল ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দেয়া রেলটিকিটের পর এবার বিজেপির স্লোগান ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ লেখা কাগজের কাপ ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিছুদিন আগেই ভারতীয় রেল মোদির ছবি দেয়া টিকিট বিক্রি করে বিপাকে পড়েছিল। পরে চাপে পড়ে তা তুলে নিতে বাধ্য হয়। এবার নরেন্দ্র মোদির ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ ট্যাগলাইনকে ব্যবহার করা হয়েছে কাগজের কাপে।

শতাব্দী এক্সপ্রেসে ব্যবহৃত এই কাগজের কাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই কাপগুলোকে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং যার কাছ থেকে কাপগুলো এসেছে তাকে যথাযথ শাস্তি দেয়া হবে।

বিভিন্ন টুইটবার্তায় জানা গেছে, কাঠগোদাম শতাব্দী এক্সপ্রেসে এই কাপ ব্যবহার হচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ঘটনা আজকেই হয়েছে এবং রেল মন্ত্রণালয় তা জানার পর শিগগিরই পদক্ষেপ নিয়েছে। যিনি কাপগুলো দিয়েছেন, সেই ব্যক্তিকে জরিমানা করা হবে। বিষয়টি দেখভালের জন্য রেলের পক্ষ থেকে যাকে নিয়োগ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview