Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৈয়দপুরে সরকারি জলাশয় খননের মাটি অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ  

এম এ মোমেন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৯ AM
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৯ AM

bdmorning Image Preview


নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য অফিসের আওতাধীন একটি জলাশয়ের পুন:খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। এই খনন কাজের উত্তলিত মাটি দিয়ে জলাশয়ের চারপাশের পাড় বা বাঁধ সংস্কার না করে উল্টো ওই মাটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া খননকৃত জলাশয়ের উপকারভোগীরাও জানেন না যে উদবৃত্ত মাটিগুলো ঠিকাদার কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।

জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলাধীন পৌর এলাকার কুন্দল বিল জলাশয় পুন:খনন প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ করা হচ্ছে। জলাশয়টির ১২৮৭ হেক্টর আয়তন জুড়ে খনন বাবদ প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ১ দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার খননকাজে প্রাপ্ত মাটির পরিমাণ প্রায় ১৫৬৮২ দশমিক ৮৯৩ ঘনফুট।

এই পরিমাণ মাটি দিয়ে জলাশয়ের পাড় বাধাই করে সংস্কার করার কথা। কিন্তু খনন কাজ তদারকিতে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধায়ক গেদন নামের ব্যক্তিটি জলাশয়ের পাড় মজবুত না করে ওই মাটি অন্যত্র বিক্রি করছেন। গেদন নিজেকে জেলা জলমহাল কমিটির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ড্রাম ট্রাকে করে প্রতিনিয়ত মাটিগুলো সৈয়দপুরের ধলাগাছ এলাকাসহ নীলফামারী ও তারাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে গেদনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাটিগুলো নীলফামারী বিডিআর ক্যাম্পের কাজের জন্য সেখানে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তাই মাটিগুলো সেখানে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ মাটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে অন্যত্র।

জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন মুঠোফোনে জানান, মাটি কেটে বিক্রি করে থাকলে তার আমার জানা নেই। আমি কেন নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্পে মাটি দিতে বলবো। এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই আমি জানিনা। খোঁজ নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশেই মাটি বিভিন্ন জায়গায় দেয়া হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া জানান, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ মাটি বিক্রির সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

জলাশয়ের সুবিধাভোগী রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ড্রাম ট্রাকে করে মাটি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমরা জানিনা।

গেদনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ডিসি ও ইউএনও স্যারের অনুমতিতে নীলফামারী বিজিবি ক্যাম্পে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অথচ এই মাটি দিয়ে জলাশয়ের পাড় বাধাই করা প্রয়োজন ছিল। কেননা গতবছর বন্যার কারণে জলাশয়ের পাড়টি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন পাড়টিতে মাটি দিয়ে বেঁধে না দিয়ে আগামী বর্ষায় বৃষ্টি তোরে পাড়টি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই খননকৃত মাটি দিয়ে পাড় বাঁধায় করার জন্য তারা জোড় দাবি জানান।   

 


 

Bootstrap Image Preview