নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: প্রধানমন্ত্রী

যারা অন্যায় করবে, তারা যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এসব করতে গিয়ে অযথা কোনো নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আইন প্রয়োগে মানবাধিকার রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদাযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তারা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের জনগণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসিত। আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম হয়েছি। একইসঙ্গে মাদক নির্মূলেও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন দেশে শান্তি ছিল না। মানুষ নিরাপদে চলতে পারতো না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ছিল দেশ। অন্তত আমি এটুকু দাবি করে বলছি, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে শান্তি ফিরেছে। দেশের মানুষ এখন নিরাপদে উন্নত জীবনযাপন করছে। জঙ্গিবাদের ঘাঁটি ভেঙে দিয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মানুষের জীবন উন্নত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে আমাদের। প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে তুলনামূলক। আমরা এখন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশে বাস করছি।

এসময় জঙ্গিবাদ এবং মাদক নির্মূলের সফল অভিযান ও সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করায় র‍্যাবকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রতিষ্ঠিত হয় র‌্যাবের। পুলিশ সদস্য ছাড়াও সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও সরকারের বেসামরিক প্রশাসনের বাছাই করা চৌকস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত হয় এ বাহিনী।