Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৯, ১০:৪৩ AM
আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯, ১০:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


সিলেটের ওসমানীনগরে কটাই মিয়া (৪০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে  ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ নির্যাতিতা ঐ শিশুটিকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসি) প্রেরণ করে।

জানা গেছে, কটাই মিয়া কর্তৃক গরীব ও অসহায় পরিবারের ৬ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষিত হলেও ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য কতিপয় কিছু প্রভাবশালী শিশুর পরিবারটি যাতে আইনের আশ্রয় না নিতে পারে সে জন্য কালক্ষেপন করে অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটার ৪দিন পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা জানতে পারলে নির্যাতিতা শিশুটির মাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে পুলিশে খবর দিলে নির্যাতিতা শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ নির্যাতিতা শিশুসহ তার আরো ২ ভাই বোনকে বাড়িতে রেখে তাদের মা একই গ্রামের পাশের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে যান। সকাল ৯টার দিকে নির্যাতিতিা শিশুটি বাড়ির সামনের রাস্তায় বের হলে খাগদিওর  গ্রামে পার্শবর্তী বাড়ির মৃত মুক্তছির আলীর ছেলে কটাই মিয়া (৪০) শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ানের লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে বিষটি কাউকে জানালে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে নির্যাতিতার মা জানতে পেরে ধর্ষিত শিশুকে জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি ঘটনার বিষয়টি তার মাকে জানায়।

নির্যাতিতা শিশুটির মা জানান, আমি অত্যন্ত গরীব ও অসহায়। ৬টি সন্তান রেখে আমার স্বামী মারা গেছেন। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মানুষের ঘরে জিয়ের কাজ করে সন্তানদের মুখে একটু খাবার তুলে দেবার চেষ্টা করি। ঘটনার দিনও প্রতি দিনের ন্যায় তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে আমাদের গ্রামের জাহেদ খানের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে যাই। বাড়ি থাকা আমার অন্য ২টি শিশু দুপুরে ঘটনার বিষয়টি জেনে আমাকে খবর দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই, দোষী লম্পট কটার মিয়াকে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গৌতম সরকার বলেন, মামলার পর থেকে শিশু ধর্ষণকারী কটাই পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার আমরা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আশা করি সে যেকোনো সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।

ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন শিশু ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Bootstrap Image Preview