যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ২৫ মার্চ লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তার ইতিহাস সম্পর্কে সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সভায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসমীন বলেন, বাংলাদেশে সরকারকে গণহত্যা জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটি সহযোগিতা করতে পারে।
বাংলাদেশে গণহত্যার ওপর বিশ্ববাসীকে আরো সচেতন করে তোলা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যে বর্বর গণহত্যা বাংলাদেশে চালিয়েছিল বিভিন্ন কারণে তার ভয়াবহতা ও নৃশংসতা এখনো বিশ্ববাসীর কাছে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা যায়নি যেমনটি রোয়ান্ডা ও কাম্বোডিয়ার গণহত্যার ক্ষেত্রে করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ ও মুক্তিযোদ্ধা সুবিদ আলী টিপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা শেষে গণহত্যার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।