আধিপত্য বিস্তার ও ইভটিজিংয়ের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টায় ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ফয়সাল আজম ফাহিন ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের অনুসারীদের মাঝে এ সংঘর্ষ ঘটে।
আহত ৩ জন হলেন- কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও নোবেল শেখের অনুসারী রাজিব হোসেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও ফয়সাল আজম ফাহিনের অনুসারী সুব্রত রায় ও রাব্বি। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে রাজিব হোসেন। তার মাথায়, হাতে ও পায়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২৬ মার্চ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা ফয়সাল আজম ফাহিন, রুবেল হোসেন, মৃতিশ চন্দ্র, মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে বিশাল একটি আনন্দ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারকে ফুল প্রদান করে। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান না করে, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও কর্মীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করার অভিযোগ তুলে। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখকে বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের অনুসারী রাজিব হোসেন ও তার দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে উত্যক্তের অভিযোগ তুলে ফয়সাল আজম ফাহিনের অনুসারী সুব্রত রায় ও রাব্বি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে। হাতাহাতি শেষে এ ঘটনা ছড়িয়ে পরলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে সংঘর্ষ বাধায়।
এসময় নোবেল শেখ অনুসারী রাজিব হোসেনকে মাথায়, হাতে-পায়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) এ ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরজি করছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, একটি অস্থিতিশীল গ্রুপ ছাত্রলীগকে কলুষিত করতে এমন কার্যকলাপ করছে। ক্যম্পাসে যখন সুষ্ঠু পরিবেশ ও ছাত্রলীগ গোছানোভাবে চলছে তখন প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করতে তারা এমন করছে।
বিষয়টি নিয়ে ফয়সাল আজম ফাহিন বলেন, দুই বছর পেরিয়ে গেলে তারা দু'জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তাদের প্রাপ্য সম্মান পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিচ্ছেনা। দু'জনে মিলে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগকে ভাঙ্গিয়ে সুবিধা নিচ্ছে। যার ফলে বঞ্চিতদের আজ এ গণজাগরণ ঘটেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মুহিব্বুল ইসলাম বলেন, মেয়েলি ঘটনায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ.কে.এম ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।