মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে আমরা মুক্তি লাভ করে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পেরেছি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. নওরোজ নিকোশিয়ার এনডিসি, পিএসসি-জি এসব কথা বলেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মনছুর আলী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. আলী আশরাফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. নওরোজ নিকোশিয়ার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের ইতিহাসের অংশ। তাদের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে মোকাবেলা করে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবো। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস হাসিনা বেগম, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মো: মোহতাছিম বিল্লাহ, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. শফিউল আলমসহ প্রশাসনের বিভাগীয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ। চিকিৎসা শিবিরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদল বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ফারিয়ার সৌজন্যে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হয়।