Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন, হাল ছাড়ছেন না থেরেসা মে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৫ AM
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৫ AM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


ব্রেক্সিট নিয়ে সৃষ্ট সংকটের কারণে নিজ দলের মধ্যেই বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিতে নানা তোড়জোড়ের মধ্যেই (২৫ মার্চ) তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। তবে বৈঠক থেকে তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান পাওয়া যাইনি।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে থেরেসা মেকে সরিয়ে দিতে মন্ত্রিসভায় তোড়জোড় চলছে। ব্রেক্সিট চুক্তির কট্টর সমালোচকদের অন্যতম বরিস জনসন, ইয়ান ডানকান স্মিথ, ডেভিড ডেভিস এবং জেকব রিস মগকে সাথে নিয়ে কান্ট্রি হাউস চেকার্সে জরুরি বৈঠক করেন মে। বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি।

কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ইয়ান ডানকান স্মিথ বলেন, মন্ত্রীসভার যেসব সদস্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধাচারণ করছেন তাদের পদত্যাগ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ৩০ জুন পর্যন্ত বিচ্ছেদের সময় পেছানোর দাবি করেছেন। কিন্তু সময় পেছানো হলো ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এটা আমাদের জন্য জাতীয় অবমাননা। প্রধানমন্ত্রীর এটা মেনে নেয়া উচিত হয়নি।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী লিয়াম ফক্স বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু সংসদে বেশির ভাগ আইনপ্রণেতা বিচ্ছেদের বিরোধী। অন্যদিকে সংসদে সরকারি দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও নেই। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী বদল করলেও সংসদে ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না।

কনজারভেটিভ দলের প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা নাইজেল ইভান বলেন,অনেকেই থেরেসা মে কে ইইউ’র সঙ্গে সমঝোতার পরবর্তী ধাপের আলোচনায় দেখতে চান না।তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মের ভবিষ্যত নিয়ে দিনক্ষণ বেঁধে দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছে।

চলতি সপ্তাহের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি পাশের শর্ত বেঁধে দিয়েছে ইইউ। কিন্তু চুক্তিতে যথেষ্ট সমর্থনের ইঙ্গিত না পেলে এ নিয়ে আর ভোটাভুটির আয়োজন করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের সংসদে চুক্তিটি দুই দফা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

কট্টর ব্রেক্সিটপন্থীরা বলছেন, এই চুক্তি যুক্তরাজ্যকে ইইউ’র অধীনস্ত করে রাখবে। আর বিচ্ছেদবিরোধীরা বলছেন, তারা ইইউ’র সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে চান।

এদিকে, সর্বদলীয় আইনপ্রণেতাদের একটি অংশ ব্রেক্সিটের নিয়ন্ত্রণ সংসদের হাতে নিয়ে নিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন বার্ক্লে বলেন, এ চেষ্টায় তারা সফল হলে বড় ধরণের সংকট তৈরি হবে। কেননা, সরকারী দলের নিজস্ব ইশতেহার রয়েছে। এর বাইরে সংসদ কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করতে চাইলে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Bootstrap Image Preview