২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক পাড়া খ্যাত রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আসন্ন ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও বাংলা নর্ববর্ষ উপলক্ষে এমন বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার বিকাল থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
কূটনৈতিক পাড়া গুলশান-বনানী এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি গুলশানে ঢোকার সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিটি প্রবেশ মুখে নিখুঁতভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে প্রতিটি যানবাহন। এছাড়াও পথচারী কাউকে সন্দেহ হলে তাকেও তল্লাশি করা হচ্ছে।
এদিকে গুলশান ক্লাবেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গুলশান ক্লাবের সদস্যসদের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, পহেলা বৈশাখ ও ২৬ মার্চসহ প্রতি জাতীয় দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সে অনুযায়ী ২৬ মার্চ উপলক্ষে ডিপ্লোম্যাটিক এলাকাসহ ঢাকা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ২৬ মার্চ উপলক্ষে কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে হাল আমলে বিশ্বে সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনায় এখানে এবার বাড়তি সতর্কতা থাকছে। গুলশান ক্লাবেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গুলশান ক্লাবের সিনিয়র ম্যানেজার (প্রশাসন) নুরুল আলম বলেন, ডিএমপি থেকে আমাদের ক্লাবের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ব সতর্কতা দেওয়া হয়। এর পর, আমরা আমাদের সম্মনিত সদস্যদের এই বার্তা পৌঁছে দেই।
তিনি বলেন, পুলিশের সতর্কতা অনুযায়ী ক্লাবের মাঠে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নুরুল আলম বলেন, ডিএমপি আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু জানতাম না, তবে ক্লাবের সামনে চেক পোস্টে পুলিশের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিকদের নিজ আবাসস্থল থেকে উন্মুক্ত লোকালয়ে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ বলেন, সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো কিছু না ঘটে। তার মানে এই নয় যে, থ্রেট আছে। সবাইকে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ।
অন্যদিকে, ডিএমপির ডিপ্লোমেটিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান জানান, হুমকি থাকায় রোববার দুপুরের পর থেকেই ডিপ্লোমেটিক জোনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে জরুরি নির্দেশনা এসেছে- নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
তিনি বলেন, তাই আগের তুলনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা অতিরিক্ত সতর্কতায় রয়েছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।