সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওয়াসিম আব্বাসকে বাসচাপায় হত্যার বিবরণ দিয়েছেন উদার পরিবহনের ঘাতক চালক ও হেলপার।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার উদার পরিবহনের বাসচালক জুয়েল আহমদকে সিলেট থেকে ও রাত ২টার দিকে হেলপার মাসুককে সুনামগঞ্জ থেকে আটক করে মৌলভীবাজার থানা পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা শিক্ষার্থী ওয়াসিম হত্যার ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানায়।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল হক জানান, স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।
ঘাতক চালক ও হেলপারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত শনিবার বিকেলে নবীগঞ্জের টোলপ্লাজা থেকে সিলেট যাওয়ার উদ্দেশে উদার পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-১৪-১২৮০) বাসে ওঠেন সিকৃবির কয়েকজন ছাত্র। এ সময় হেলপার মাসুক মিয়া তাদের কাছে ১০০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এ নিয়ে ওয়াসিম ও তার বন্ধুরা ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভাড়া কম দেয়ার কথা বললে বাসের হেলপার ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় শুরু করে।
পরে তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে নেমে যান। এসময় পেছন থেকে হেলপার তাদের গালি দেন। এতে ওয়াসিম বাসের সিঁড়িতে উঠে হাতল ধরে কেন গালি দিলেন তা জিজ্ঞেস করতে বাসের চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়। তখন হেলপার মাসুক মিয়া ওয়াসিমকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। এসময় বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ওয়াসিম গুরুতর আহত হন। পরে তার সঙ্গীরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ওসি সোহেল আহাম্মদ জানান, ওয়াসিমের পরিবারের সদস্যরা এখন দাফন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা মামলা করবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে পরিবার মামলা না করলেও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।