নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার একটি সড়কের মাঝখানে অনেকটা জায়গাজুড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। সড়কটির দু’পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে যানবাহন। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
এই দৃশ্যটি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ মানিকপুর গ্রামের সড়কের উপর দেখা যায়। এখানে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের দৃশ্য সবার চোখে পড়লেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো পদক্ষেপ নেই। স্থানীয়রা বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ কবে হবে জানতে চায়। সাধারণ জনতা দুর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণে বার বার তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ব্যর্থ হয়েছে।
ইতিমধ্যে সড়কটি দিয়ে রাতের বেলা প্রায়ই কোন না কোনো ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমতাবস্থায় বৈদ্যুতিক খুটিটি দ্রুত অপসারণ না করা হলে যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন সাধারণ পথচারী ও যানবাহনের চলাচলে জনদুর্ভোগ লাগবে দ্রুত কর্তৃপক্ষ এই খুটিটি অপসারণ করবে।
জানা যায়, উপজেলার এই সড়কটি দিয়ে মানিকপুর থেকে সেনবাগ আসার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
প্রতিদিন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা উপজেলা কেন্দ্রীক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে সড়কটি দিয়ে যেকোনে যানবাহন পারাপারে খুব সাবধানতার সহিত পারাপার হতে হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন পরিবহন হঠাৎ এই দৃশ্যটি সামনে দেখে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়।
স্থানীয়দের দাবি, এই খুঁটি বেশ কিছুদিন ধরে এই সড়কটির মাঝখানে রয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের কাছে এ খুঁটিগুলো সরানোর দাবি জানালেও কেউ তা আমলে নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
তাই স্থানীয়দের জনদুর্ভোগ লাঘবে অতিদ্রুত এসব বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে সরকারের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে সেনবাগ পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে আমরা এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী অতি শীঘ্র্রই সেনবাগ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মধ্যে থাকা ঝুকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুটিগুলো স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে স্থানান্তরিত করা হবে।