রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় একটি বিড়ালকে হত্যার পর তার শরীর ৪ টুকরোর অভিযোগে গ্রেফতার খিলগাঁও মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান মেহজাবিনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২২ মার্চ) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক নয়ন দেবনাথ।
অপরদিকে ইসরাতের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান ঘোষ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।
এর আগে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে মুগদা থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নয়ন দেবনাথ বলেন, ইসরাত জাহান দুইদিনের একটি বিড়াল ছানাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর হত্যার ওই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে। ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে পান কেয়ার ফর পাওয়াস নামে একটি সংগঠন। তারা বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করেন। বিড়াল ছানা হত্যার অভিযোগে সংগঠনের মহাসচিব জাহিদ হাসান ইসরাতের নামে মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, ইসরাত খিলগাঁও মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার দাবি সে ক্লাসের প্র্যাকটিকাল পরীক্ষার জন্য এ কাজ করেছিল। সে দুদিন আগে বিড়াল ছানাটি হত্যা করে। তার বাসা গোপীবাগের ষষ্ঠ লেনে।
অভিযুক্ত তরুণী জানায়, তিনি ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে এসএসসি পাস করে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলেও তার এন্টিবায়োটিক রিঅ্যাকশন হওয়ার কারণে পড়াশোনা আপাতত বন্ধ আছে। আবারও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবেন।
তিনি আরো বলেন, আমি এর আগে ছোট ছোট সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট করেছি। এটাও কৌতুহল বশত করেছি। আমি খুব দুঃখিত, ভবিষ্যতে এরকম আর করবো না।
এদিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে মো. সেলিম নামে একজন জানান, আমরা মেয়েটির এই বিভৎস কাজে ক্ষুব্ধ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। কিছুক্ষণ আগে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা গত কয়েকদিন চেষ্টা করে তাকে চিহ্নিত করেছি। মেয়েটি বিড়ালটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে তার মা ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। তারা আমাদের সঙ্গে মীমাংসা করারও প্রস্তাব দিয়েছিলো। তবে আমরা খিলগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছি।