Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন জজের দুই সন্তান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৫:৩৭ PM
আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৫:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খানের সরকারি বাসভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এ ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন জজের দুই সন্তান ও স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো শহরজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি এখন সবার মুখে মুখে।

ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার সময় মো. জুলফিকার আলী খানের দুই সন্তান ও স্ত্রী ওই ভবনে অবস্থান করেছিলেন। ছাদের পলেস্তারা খসে তাদের গা ঘেঁষে পড়ে।

জজ জুলফিকার আলী খানের সরকারি বাসভবন ঘুরে দেখা যায়, জরাজীর্ণ একটি দোতলা ভবনে থাকেন জজ মো. জুলফিকার আলী। ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। ভবনটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সংস্কার করা হয়নি। ভবনে বসবাস করা একেবারেই অনুপযোগী।

আজ ওই ভবনের একটি রুমে বসে পড়ছিলেন জজের দুই ছেলে। এ সময় ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পান জজের দুই ছেলে। তবে এতে ঘরের আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত রয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খানের পরিবার।

জজ মো. জুলফিকার আলী খানের ছোট ছেলে মো. জুহায়ের খান মুরিজ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ভবনের একটি কক্ষে বসে বই পড়ছিলাম। হঠাৎ বেলা ১১টার দিকে কক্ষের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে। এ সময় বিকট শব্দ হয়। অল্পের জন্য আমার মাথার ওপর পড়েনি। আমি চিৎকার দিলে অন্য রুম থেকে দৌড়ে এসে মা আমাকে জড়িয়ে ধরেন। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। আমি ভয় পাচ্ছি।

এদিকে, জজ মো. জুলফিকার আলী খানের সরকারি বাসভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, এই ভবনটি আনুমানিক ১৯৮৮ সালে নির্মিত হয়েছিল। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। শুধু দুটি কক্ষই নয় পুরো ভবনের অন্যান্য কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পুরো ভবনটি জরাজীর্ণ। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে জজ সাহেবের পরিবার বেঁচে গেল। আমরা দ্রুত এই ভবন সংস্কার করব।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান বলেন, ভবনটি খুবই পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ। ছয় মাস আগে আমি এখানে বদলি হয়ে এসেছি। পরিবার-পরিজন নিয়ে জরাজীর্ণ এই ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি। ভবনটিতে থাকা একেবারেই অনুপযোগী। ভবনটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

Bootstrap Image Preview