রাজবাড়ীতে বিয়ের ২৫ দিন পর প্রবাসীর স্ত্রী দাখিল পরীক্ষার্থী আঁখি খাতুনের পূর্ব প্রেমিক নাইম পাটোয়ারীর হাত ধরে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যে স্বর্ণালোংকার নিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ মার্চ রাজবাড়ী সদরের শহীদ ওবাহপুর ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামে।
এ বিষয়ে আঁখি খাতুনের স্বামী ইলিয়াছ আলী সরদার তার স্ত্রীর সন্ধান চেয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় গত ৩মার্চ একটি ডায়রী করেছেন।
রাজবাড়ী সদরের শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের রুপপুর গ্রামের ছবদার আলী সরদারের ছেলে দুবাই প্রবাসী ইলিয়াছ আলী সরদার বলেন, তিনি ৭ বছর পরে দেশে এসে পারিবারিক সম্মতে একই ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের আলম মোল্লার মেয়ে আঁখি খাতুনকে গত ৪/২/১৯তারিখে বিয়ে করেন। আঁখি খাতুন রাজবাড়ী সদরের আহলাদিপুর আজিজ খান মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিয়ের পর আঁখি স্বামী বাড়ি থেকেই রাজবাড়ী সদরের শ্রীপুর লজ্জাতুন নেছা মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিচ্ছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২ মার্চ শেষ পরীক্ষার দিনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আঁখি ব্যাগে করে তার সব গহনা নিয়ে আসে। ওই দিন পরীক্ষা শেষে আঁখি স্বামীর মায়া ত্যাগ করে তার পূর্ব প্রেমিক গৌরীপুর গ্রামের তাজু পাটোয়ারীর ছেলে নাইমের সাথে পালিয়ে নিরুদ্দ্যেশ হয়। এরপর থেকে আখি ও নাইম পলাতক রয়েছে।
ওই দিন বিকেলেও আঁখি বাড়িতে না ফিরায় তার স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন অনেক খুঁজাখুজি করে জানতে পারে বউ নাইমের সাথে পালিয়েছে। এর পর ৩মার্চ ইলিয়াছ আলী সরদার থানায় ডায়রী করেন।
পরে ইলিয়াছ ও তার পরিবার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তোবারক হোসেন কাছে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তোবারক হোসেন জানান, ছেলে পক্ষ তার কাছে এসেছিল। তিনি তাদের বলেছেন, এখন আইন মেয়েদের পক্ষে। এ ব্যপারে আইন আদালত করে কোন সমাধান হবে না। তবে এলাকায় পারিবারিকভাবে বসে ঠিকঠাক ও একটা মিলতাল করে নেয়াই ভাল। কিন্তু ইলিয়াছ আলী সরদার তার স্ত্রী ও তার দেয়া ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার সোনার গহনা ফেরত পাবার আশায় প্রহর গুনছেন।