দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েও ইউনিয়ান পরিষেদে যান না চেয়ারম্যান। কর্মকর্তাদের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে অফিসের দখল নিয়েছে তেলাপোকা ও মাকড়সা।
নরসিংদী জেলাটি ৬৩৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। তারই মধ্যে দুর্ভোগ ইউনিয়নের নাম চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। এই ইউনিয়নে প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মেঘনা নদীর পাশে গড়ে উঠেছিল এই পরিষদটি।
এই আড়ালিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বট গাছের নিচে বসে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পক্ষ নিত ইউপি চেয়ারম্যান।
তারই সূচনা যেন বহিঃপ্রকাশ ও নদীর স্রোতে ভাসিয়ে গেল আজকে এই পরিষদের কার্যক্রম।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় যে, ইউপি কার্যালয়ের মূল ফটকের তালায় ঝুলছে মাকড়সার জাল। ভিতরে চেয়ারম্যানের দাপ্তরিক টেবিলে বাসা বেঁধেছে তেলাপোকা।
শুধু তাই নয় এই ইউনিয়নের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারাও মনে চাইলে করে অফিস, না চাইলে করে না দাবি অত্র এলাকাবাসীর।
এদিকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মো. কাউছার মিয়া, পিতা- হারুন অর রশীদ তার ৭ শতাংশ জায়গা খারিজ করতে এসেছিল এই ভূমি অফিসে। কিন্তু দীর্ঘ ৩ ঘন্টা বসে থাকলেও আসেননি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
চর আড়ালিয়া ভূমি কর্মকর্তার মোঃ রতন মিয়ার কাছে গণমাধ্যম কর্মী রুদ্র এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু চরাঞ্চল এটি।তাই সাপ্তাহে ৩ দিন অফিস করি। আর বাকিটা ব্যক্তিগত অন্য কাজে ব্যয় করি। এভাবেই চলছে এই ভূমি অফিসের কাজ।
এদিকে চর আড়ালিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার মোঃ শাহিনুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, এই ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের অধিক চেয়ারম্যান নির্বাচন হওয়ার পরপরই যার যার বাসায় অফিস করছে। বিভিন্ন জন্ম নিবন্ধন, পরিচয় পত্র, সত্যায়িত কপি আনতে গেলে নরসিংদী সদরে যেতে হয় চেয়ারম্যান সাহেবের বাসাতে। তাই আমরা সাধারণ ভোটাররা কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে নিজের ভাগ্যের উপর দোষারোপ করেই বেঁচে আছি।
সম্প্রতি সময় ধরে এই চরাঞ্চলের মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে রাস্তা ঘাটের বেহাল অবস্থা, রয়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অনিয়ম, কিছুটা সহানুশীল হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে। এই বিষয়ে চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।